১৮–১৯ নভেম্বর কলকাতার নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল নন–রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের বৃহৎ সংগঠন প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার (পিএমপিএআই)–এর ষষ্ঠ রাজ্য সম্মেলন৷ ১৮টি জেলা থেকে ২১৭৫ জন প্রতিনিধি এই সম্মেলন ও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন৷ দেশের অন্য ৮টি প্রদেশ থেকেও ৪২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷ কর্মশালায় ‘সাপের কামড় ও তার চিকিৎসা’, ‘অস্টিওপোরোসিস’, ‘ডায়াবেটিস ও তার প্রতিকার’ এবং ‘অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক’ বিষয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন যথাক্রমে অধ্যাপক শিবেন্দু ঘোষ, ডাঃ গৌতম সাহা, ডাঃ পার্থসারথি মণ্ডল ও অধ্যাপক প্রকাশ চন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ প্রখ্যাত শিক্ষক – চিকিৎসকরা৷
১৯৮২ সালে জন্মলগ্ন থেকেই পিএমপিএআই মূলত গ্রামীণ নন–রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের নাম নথিভুক্তিকরণ, বৈজ্ঞানিক প্রশিক্ষণ ও সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছে৷ ২০১৫ সালে ৬ নভেম্বর বর্তমান রাজ্য সরকার একটি সার্কুলার জারি করে আংশিক হলেও দাবিগুলি স্বীকার করে এবং ইনফর্মাল হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে কিছু কিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করে৷ যদিও নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া এখনও অসম্পূর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ৷ প্রশিক্ষণ শেষে শংসাপত্রও দেওয়া হচ্ছে না এবং সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবায় সঠিকভাবে নিয়োগের পরিকল্পনা এখনও তৈরি হয়নি৷ সম্মেলনে এসব নিয়ে আন্দোলন তীব্রতর করার সিদ্ধান্ত হয়৷
সম্মেলন থেকে ৪০ জনের একটি শক্তিশালী রাজ্য কমিটি গঠিত হয়৷ সভাপতি, সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে ডাঃ প্রাণতোষ মাইতি, ডাঃ রবিউল আলম এবং ডাঃ তিমিরকান্তি দাস৷ সর্বভারতীয় সংগঠন গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ১৫ জনের একটি সর্বভারতীয় প্রস্তুতি কমিটিও তৈরি হয়েছে৷ সংগঠনের মুখ্য উপদেষ্টা নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ তরুণ মণ্ডল৷ তিনি আন্দোলনকে আরও জোরদার করে এবং সংগঠনকে আরও বিস্তৃত করে অপূরিত দাবিগুলি আদায় করার জন্য প্রতিনিধিদের কাছে আহ্বান জানান৷