সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকে ৮০০–র মতো পরিবার তাদের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়েছে৷ সুন্দরবনে মাছ–মীন–মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে তাঁদের কেউ গেছেন বাঘের পেটে, কেউ কুমিরের৷ বাসন্তী, কুলতলী, রায়দিঘি, হিঙ্গলগঞ্জে এমন পরিবারের সংখ্যা শত শত৷ অসহায় এই পরিবারগুলির জন্য নানা সময়ে সরকারি স্তরে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্বাস ঘোষিত হলেও সেগুলি বাস্তবায়নের কোনও উদ্যোগ নেই৷
বাঘ–কুমিরে আক্রান্ত ও বিধবাদের কমিটির পক্ষ থেকে ১৩ফেব্রুয়ারি এককালীন ক্ষতিপূরণ, বিধবা ও বার্ধক্য ভাতা, আবাস যোজনার গৃহ ও সন্তানদের শিক্ষার জন্য অনুদানের দাবি জানিয়ে বিডিওকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ বিডিও তাঁদের প্রয়োজনের কথা মেনে নিয়েই সরকারের দায়িত্ব শেষ করেছেন৷ তবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কলকাতার পাবলিক রিলিফ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ ১৮ ফেব্রুয়ারি সাতজেলিয়া ও গোসাবায় আক্রান্ত প্রায় ৭৫০ পরিবারের হাতে সোসাইটির পক্ষ থেকে বস্ত্র তুলে দেওয়া হয়৷ সোসাইটির সম্পাদিকা শুক্লা দে চৌধুরী জানান, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে সংগ্রহ করে এভাবে তাঁরা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবার উদ্যোগ নিয়েছেন৷ উপস্থিত ছিলেন অজয় চ্যাটার্জী, প্রাক্তন সাংসদ তরুণ মণ্ডল সহ কমিটির অন্যান্যরা৷ রাজ্যের বহু বুদ্ধিজীবী ও বিশিষ্ট জন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷