দক্ষিণ ২৪ পরগণায় গোকর্ণী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার, নার্স, প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ নিয়মিত রাখা, হাসপাতালের গেট, বাউন্ডারি ওয়াল, জলনিকাশি ব্যবস্থার উন্নয়ন, হাসপাতালে রোগীদের প্রতীক্ষালয় ও শৌচালয়ের দাবিতে আন্দোলন সম্প্রতি জয়যুক্ত হয়েছে।
হাসপাতালটি তৈরি হয়েছিল স্বাধীনতার দু-এক বছর পরেই। শুরুতে হাসপাতালে কয়েকটি বেড ছিল, প্রসূতি মায়েদের ডেলিভারির ব্যবস্থা ছিল, ২৪ ঘন্টা ডাক্তার থাকতেন। নার্স, গ্রুপ-ডি কর্মী, ডাক্তারদের থাকার কোয়ার্টার ছিল। রাতে সাধারণ মানুষ এসে ডাকলে ডাক্তাররা চিকিৎসা করতেন।পূর্বতন সিপিএম-ফ্রন্ট সরকারের আমলে এই হাসপাতালটির বেড তুলে দেওয়া হয়। তারপর একের পর এক ডাক্তার, নার্স তুলে নিয়ে, হাসপাতালের জমি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে ব্যবহার করে, হাসপাতালের পরিষেবার অবনমন ঘটিয়ে হাসপাতাল তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছিল। এর বিরুদ্ধে আন্দোলনও চলছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ডিসেম্বরে গড়ে ওঠে গোকর্ণী-যুগদীয়া হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা প্রস্তুতি কমিটি। কমিটির নেতৃত্বে এলাকায় গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়। স্বাক্ষরিত দাবিপত্র নিয়ে ৭ মার্চ বিএমওএইচ-এর কাছে ও ১১ মার্চ বিডিও-র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পাড়ায় পাড়ায় মানুষকে, বিশেষ করে মহিলাদের সংগঠিত করে ছোট ছোট কমিটি গঠন করা হয়। ২৮ মার্চ একটি মিছিল হয়, যাতে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য।
আন্দোলনের চাপে ২৯ মার্চ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তার আসেন এবং রোগী দেখেন। এই জয়ে কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে অভিনন্দন জানানো হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, একটি দাবি আদায় হলেও আগামী দিনে হাসপাতালের পরিকাঠামো ও পরিষেবার উন্নয়ন, আগের মতো বেড চালু, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘন্টা ডাক্তার-নার্স থাকার দাবিতে আন্দোলন চলতে থাকবে।