২০২১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস ৩০-৩৫ শতাংশ কমানো প্রসঙ্গে এআইডিএসও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি সম্পাদক কমরেড মণিশঙ্কর পট্টনায়ক বলেন, দায়িত্বশীল শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনগুলির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই সিলেবাস কমানো হয়েছে। ভাষা, সমাজবিজ্ঞান ও মৌলিক বিজ্ঞানের এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বাদ দেওয়া হয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে।
এর ফলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স, নিট সহ নানা পরীক্ষার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হবে ছাত্রছাত্রীরা। করোনা সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে সিলেবাস কমানোর ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলি কমালে কম ক্ষতি হত তা গুরুত্বসহ বিবেচনা করা হয়নি। মৌলিক বিষয়গুলি বাদ দেওয়াও উচিত হয়নি। ডিএসও-র দাবি, ১) সিলেবাস পুনর্বিবেচনা করতে হবে, কোনও অজুহাতেই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলি বাদ দেওয়া চলবে না। ২) স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। বোর্ড পরীক্ষার আগেই ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩) বোর্ড পরীক্ষার আগেই টেস্ট পরীক্ষা নিতে হবে। ৪) প্র্যাক্টিকাল ও ল্যাবরেটরি-নির্ভর বিষয়গুলির ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
(ডিজিটাল গণদাবী-৭৩ বর্ষ ১৩ সংখ্যা_১৮ ডিসেম্বর, ২০২০)