কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইজরায়েলের আহ্বানে ১৪ এবং ১৫ ডিসেম্বর সে দেশের শহরে শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণবিক্ষোভ। গাজায় ইজরায়েলি সামরিক আগ্রাসন বন্ধ এবং যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির দাবিতে এই বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেছেন। বিক্ষোভ হয়েছে জেরুজালেম, হাইফা, বিরসেবা সহ অন্যান্য শহরে এবং দেশের সর্বত্র মোড়ে মোড়ে।
আরব এবং ইহুদি ধর্মাবলম্বী জনগণ সম্মিলিতভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাজধানী তেল আভিভের ইজরায়েলি সামরিক হেডকোয়ার্টারের বাইরে পাঁচ হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। সেখান থেকে দাবি ওঠে– অবিলম্বে গাজা ও অন্যত্র ইজরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে হবে, যুদ্ধবন্দিদের মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এরও আগে বেগিন কাফিয়ান জংশনে মানুষ জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী আওয়াজ তোলে। যুদ্ধে পাঠানো সেনাদের মায়েরা সেখানে জড়ো হয়ে বলেছেন, এখনই যুদ্ধ বন্ধ করে আমাদের সন্তানদের ফিরিয়ে আনা হোক। আমাদের কাছে খবর আছে যে, নেতানিয়াহু সরকার আদৌ আলোচনার মাধ্যমে মীমাংসার পক্ষপাতী নয়, তারা যুদ্ধ এবং হত্যা চালিয়ে যেতে চায়। এক মা সেখানে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমার সন্তানকে যদি ফিরিয়ে আনা না হয় এবং যুদ্ধ বন্ধ করা না হয় তা হলে আমি ছেড়ে কথা বলব না। আমি হব নেতানিয়াহুর সব থেকে বড় শত্রু। আপনি মুখে বলেন, সকল বন্দি ইজরায়েলিকে আপনি দেশে ফিরিয়ে আনবেন, কিন্তু আসলে মুষ্টিমেয়র জন্য আপনি আগ্রহী। আমি হুমকি দিচ্ছি না, শুধু জানাতে চাই আপনি ক্ষমা পাবেন না।
জেরুজালেমের বিক্ষোভ থেকে অবসরপ্রাপ্ত ও প্রতিবাদী ব্রিগেডিয়ার আমির হাসকেল ও অন্য এক নেতাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলে পুরেছে। প্রতিবাদীরা গাজার গণহত্যায় শরিক না হওয়ার জন্য সেনাদের প্রতি আবেদন জানান। উত্তর ইজরায়েলের কারকুর জংশন অবরোধ করেন প্রায় হাজারের উপর মানুষ।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে তেল আভিভের হাবিনা স্কোয়ারে শতাধিক মহিলা কালো পোশাক পরে প্রতিবাদ জানান। তাঁদের দাবি, গাজায় প্যালেস্তিনীয়দের অনাহারে ঠেলে দেওয়া চলবে না। সংগঠকরা বলেন, ইজরায়েল সরকার খাদ্য ও পানীয় জলকে যুদ্ধাস্ত্ররূপে কাজে লাগাচ্ছে। গাজার জনগোষ্ঠীকে অনাহারে ঠেলে দিচ্ছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের ক্ষতি করছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং বন্দিদের ঘরে ফেরাতে হবে।
সূত্রঃ https://maki.org.il/en/?p=3