ক্ষমতার দম্ভ কি মানুষকে অন্ধ করে দেয়? সব শাসকের চরিত্রই কি তবে এক? রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে আজ এমন অজস্র প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। নদীয়ার হাঁসখালিতে নির্যাতনে নিহত কিশোরী সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী যে ভাষায় মন্তব্য করেছেন তাতে সমাজের বড় অংশই স্তম্ভিত এবং ক্ষুব্ধ। তাঁরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে এমন ভাষা বেরোল কী করে? বিরোধী অবস্থায় থাকাকালীন যে মুখ্যমন্ত্রীকে এ ধরনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করতে দেখা যেত, মাঝরাতেও ছুটে গিয়ে নির্যাতিতের পাশে দাঁড়াতে দেখা যেত, তিনিই আজ ধর্ষকের পক্ষে সওয়াল করছেন কী করে?
অতীতে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে ভূমিকা দেখে যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করেছিলেন, তাঁর চরিত্রের এই পরিবর্তনে তাঁরাও বিস্মিত হচ্ছেন। রাজ্যে একের পর এক খুন-ধর্ষণ-নারী নির্যাতনের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন, তা আর যাই হোক, প্রশাসনিক প্রধানের উপযুক্ত নয়। বগটুইয়ের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এতে তাঁর দলের কোনও দায় নেই। এটি দু’দল দুষ্কৃতীর বিরোধের ফল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতার গালিগালাজে যখন রাজ্যের বিবেকবান মানুষ মাত্রেই লজ্জায় অপমানে মাথা নিচু করছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী তাকে শুধুই ‘একটু কটু কথা’ বলে দায়িত্ব শেষ করেছেন। আর হাঁসখালির ঘটনাকে তো শুধু ‘ছোট ঘটনা’ বলেই থামেননি, নিহত কিশোরীর চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
স্বাভাবিক ভাবেই জনমনে প্রশ্ন উঠে আসছে, সিপিএম সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের প্রবল বিক্ষোভের ঢেউয়ে ভেসে যিনি ক্ষমতায় বসেছিলেন, ক্ষমতায় বসার কিছু দিনের মধ্যেই তাঁর এই পরিণতি হল কেন? সিপিএম শাসনেও রাজ্যের মানুষ দেখেছেন, একদিন যাঁরা দিন বদলের কথা বলেছেন, ক্ষমতায় বসে তাঁরাই কী ভাবে জনবিরোধী শাসকে পরিণত হয়েছেন। তবে কি শাসক মাত্রেরই এই পরিণতি?
আসলে যতদিন কেউ মানুষের পক্ষে থাকেন, তাদের অভাব-অভিযোগের সুরাহার দাবির সাথে থাকেন, তত দিন তাঁর ভাষাও থাকে মানুষের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী সম্পর্কে দেশের মানুষের মনে যে ধারণাটি গড়ে উঠেছিল তা তাঁর ক্ষমতায় বসার আগেকার ধারণা।
এ কথা কোনও ভাবেই ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা বাস করি শোষক এবং শোষিত শ্রেণিতে বিভক্ত পুঁজিবাদী একটি সমাজে। এখানে প্রতিটি মানুষই হয় শোষকের পক্ষে না হয় শোষিতের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী যতদিন সাধারণ মানুষের পক্ষে থেকেছেন, ততদিন তিনি ‘প্রতিবাদী’ হিসাবে পরিচিত থেকেছেন। যেদিন তিনি শাসন ক্ষমতায় বসে শোষণের রাজদণ্ড হাতে তুলে নিয়েছেন, শোষক শ্রেণির পৃষ্ঠপোষক হয়েছেন সেদিনই তিনি সাধারণ মানুষের স্বার্থের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন, ক্ষমতায় বসেই তিনি শোষকের পক্ষ নিয়েছেন তার প্রমাণ কী? যে মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমের অপশাসনের বিরোধিতা করতে গিয়ে একের পর এক বনধ ডেকেছেন, ক্ষমতায় বসে তিনিই মালিক শ্রেণিকে সন্তুষ্ট করতে, তাদের সেবায় নিজেকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করতে ঘোষণা করেছেন, রাজ্যে কোনও বনধ-ধর্মঘট বরদাস্ত করা হবে না। অর্থাৎ কোনও সরকার যদি জনগণের স্বার্থের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়, তার প্রতিরোধের প্রয়োজনে অস্ত্র হিসাবে যদি মানুষ বনধ-ধর্মঘট করে, তবুও তিনি তার বিরোধিতা করবেন। আর আজ তো তিনি শুধু বনধ-ধর্মঘটের বিরোধিতাতেই সীমাবদ্ধ নেই, শাসক পুঁজিপতি শ্রেণির স্বার্থরক্ষায় গণআন্দোলন দমনে নতুন নতুন পন্থা নিয়ে চলেছেন।
ফলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দোসরদের প্রশ্রয়ে পুষ্ট এই বিশাল বাহিনী, যারা সরকারের মধুভাণ্ডের ভাগ পেতে তৃণমূলের চারপাশে জড়ো হয়েছে, তারা তো দুষ্কর্মই ঘটাবে। সেই দুষ্কর্মই আজ ঘটে চলেছে রাজ্য জুড়ে। চলছে শাসকদলের বিভিন্ন গোষ্ঠীতে দ্বন্দ্ব, খুনোখুনি, মহিলাদের উপর লাগাতার অত্যাচার, ধর্ষণ, খুন, বালি-পাথর-কয়লা খাদানকে কেন্দ্র করে বেআইনি লুটপাঠ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এখন রাজ্যে সবাই তৃণমূলের সমর্থক। সকলেই যদি তৃণমূলের সমর্থক হয় তবে তাদের কুকীর্তির দায় তাদের নেত্রী হিসাবে মুখ্যমন্ত্রী এড়াবেন কী করে? তিনি তো রাজ্যের মানুষকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই ক্ষমতায় বসেছিলেন যে, সিপিএম অপশাসনের বিরুদ্ধে সুশাসন দেবেন। তবে কেন রাজ্যের যুবসমাজের একটা বড় অংশ আজ নানা রকমের অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ছে? এর উত্তর দেওয়ার দায় তো মুখ্যমন্ত্রীর উপরই বর্তায়।
মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে থাকলেও রাজ্যের মানুষ জানেন, ক্ষমতায় বসার পর যখন সিপিএম জমানার খুন-সন্ত্রাস-চুরি-দুর্নীতির নায়করা বানের জলের মতো তৃণমূল কংগ্রেসে ঢুকছিল তখন তিনি শুধু বাধা দেননি তাই নয়, মানুষের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, তারা নাকি সংগঠন তৈরিতে অভিজ্ঞ। ক্ষমতায় বসে যেদিন তিনি সিপিএমের মদের দোকানের ঢালাও লাইসেন্সের নীতিকে আরও দ্রুত গতিতে এগিয়ে নিয়ে চললেন, সেদিনই বোঝা গিয়েছিল ছাত্র-যুবদের নৈতিক চরিত্র গড়ে তোলা বা তা রক্ষা করায় নেত্রীর কোনও দায় নেই। কামদুনিতে এক কিশোরীর উপর অত্যাচার করে খুনের ঘটনায় প্রতিবাদীদের যেদিন ‘মাওবাদী’ বলে দাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন সেদিনই বোঝা গিয়েছিল ক্ষমতায় বসার আগে তাঁর এমন ঘটনার বিরোধিতার মধ্যে কোনও নৈতিক তাগিদ ছিল না, মানুষের ক্ষোভকে ক্ষমতার সিঁড়ি বানানোই ছিল আসল উদ্দেশ্য। একের পর এক কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসি-র ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা যখন শিক্ষক-অধ্যক্ষ-উপাচার্যদের অপমান করতে থাকল এবং মুখ্যমন্ত্রী সেগুলিকে ‘দুষ্টু ছেলেদের কাজ’ বলে উড়িয়ে দিলেন তখনই বোঝা গিয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্য এই সব ছাত্রযুবদের হীন কাজে ব্যবহার করা। তারই প্রতিফলন ঘটল ঠিক সিপিএমের কায়দাতে একের পর এক নির্বাচনে এই ছাত্রযুবদের ব্যবহার করে জাল ভোট, ছাপ্পা ভোট দেওয়া, রিগিং করা, বুথ দখল করার ঘটনায়।
মুখে মানুষের কল্যাণের কথা বলা আর কাজে ছাত্র এবং যুব সমাজের নৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে তাদের লুম্পেন হিসেবে তৈরি করা সুবিধাবাদী রাজনীতির এক চরম উদাহরণ। এই রাজনীতির চর্চা হলে সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য, মহিলাদের উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা সমাজে বাড়তে বাধ্য। দুর্নীতি-দুষ্কৃতী-লুঠতরাজের রাজনীতিতে রুচি-সংস্কৃতির জায়গা থাকতে পারে না। আর রাজনীতিতে যদি রুচি-সংস্কৃতি না থাকে তবে তা কখনও মানুষের যথার্থ কল্যাণ করতে পারে না। ঠিক এই কারণেই এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) রাজনীতিতে রুচি-সংস্কৃতি-মূল্যবোধের উপর এত জোর দেয়। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের রাজনীতির মধ্যে যদি রুচি-সংস্কৃতির প্রতিফলন না থাকে, তা হলে তাদের রাজনীতির কথাগুলো কতগুলো শুকনো কথার কচকচিতে পরিণত হয়, তা মানুষের যথার্থ কল্যাণের জন্য নিয়োজিত হতে পারে না। সেই রাজনীতি মুখে জনদরদের ফোয়ারা ছোটালেও তা আসলে ভণ্ডদের রাজনীতি, যা সমগ্র রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিবেশকে দূষিত করে। সেই জিনিসই আজ রাজ্য জুড়ে ঘটে চলেছে।
একদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর মুখে কিছু স্লোগান শুনে অনেকে তাঁকে বামপন্থী বলে ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। আমাদের দেশে এক দল মানুষ আছেন যাঁরা কারও মুখে কিছু র্যাডিক্যাল স্লোগান শুনলেই তাকে বামপন্থী বলে মনে করেন। মমতা ব্যানার্জীকেও তাই মনে করেছিলেন। অথচ বামপন্থা কথাটার তো একটা নির্দিষ্ট মানে আছে। বামপন্থী মানে তো তিনি শ্রেণি-রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, মানুষের সমস্ত সমস্যার মুল এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা এবং এর আমূল পরিবর্তন ছাড়া যথার্থ গণমুক্তি সম্ভব নয়। মমতা ব্যানার্জীর রাজনীতিতে এসবের চিহ্নমাত্র আছে নাকি? বরং তিনি শ্রেণিরাজনীতিরই বিরোধিতা করেন। এতবড় একটা কৃষক আন্দোলন দিল্লিতে হয়ে গেল, কৃষকদের স্বার্থে সেই আন্দোলনকে জোরদার করার কোনও চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস করেছে নাকি? শিক্ষাক্ষেত্রে বিজেপি মারাত্মক আক্রমণ নামিয়ে আনছে, শিক্ষার সিলেবাসে অনৈতিহাসিক সব বিষয় নিয়ে এসে ইতিহাসের বিকৃতি ঘটাচ্ছে। তার কোনও বিরোধিতা মুখ্যমন্ত্রীর দল বা সরকার করেছে? বরং জনবিরোধী জাতীয় শিক্ষানীতিকেই নানা চালাকির মধ্য দিয়ে এ রাজ্যে চালু করছে। কোনও দলের রাজনীতিতে যদি মানুষের উপর শাসক শ্রেণির আক্রমণগুলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ না থাকে, আন্দোলন না থাকে তবে তা মানুষকে বিপথগামী করে এবং এর ফলে ব্যক্তি নেতাদেরও এক সময়ের অর্জিত চরিত্র অধোগামী হতে বাধ্য। শাসক তৃণমূলের নেতা-নেত্রীদের বর্তমান পরিণতি এই কারণেই।
সিপিএম নেতারা আজ তৃণমূলের দুষ্কৃতী-রাজ দেখিয়ে নিজেরা ভালো সাজতে চাইছেন। অথচ ৩৪ বছর শাসন ক্ষমতায় তাঁদেরও যে একই পরিণতি ঘটেছিল তা-ও ছিল জনবিরোধী রাজনীতি এবং সংগ্রাম বিমুখতারই ফল। গত শতকের পাঁচের দশকে, ছয়ের দশকের গোড়ায় তাঁদের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও সংগ্রামী মানসিকতা ছিল। কারণ তাঁরা তখন গণআন্দোলনে সামিল ছিলেন। কিন্তু ছয়ের দশকে যখন এ রাজ্যে যুক্তফ্রন্ট সরকার তৈরি হল এবং তাঁরা তার অন্যতম শরিক হয়ে ক্ষমতার রাজনীতির স্বাদ পেলেন তখনই তাঁরা সংগ্রামী রাজনীতির রাস্তা পরিত্যাগ করলেন। যে-কোনও রকম শ্রেণি-রাজনীতিকে, আপসহীন রাজনীতিকে তাঁরা এড়াতে থাকলেন যাতে পুঁজিপতি শ্রেণির বিষনজরে না পড়েন, যাতে তাঁদের ক্ষমতায় থাকতে, আবার ক্ষমতায় বসতে পুঁজিপতি শ্রেণির আশীর্বাদ পেতে কোনও অসুবিধা না হয়। সেই রাজনীতিই তাঁরা ক্ষমতায় থাকার ৩৪ বছর ধরে করেছেন, আজও করে চলেছেন। আজও শ্রেণি-রাজনীতিকে এড়িয়ে, গণসংগ্রামের রাজনীতিকে এড়িয়ে কোথায় কোন দলের সাথে জোট করলে–তা বুর্জোয়া দল হোক, জাতপাতভিত্তিক দল হোক–দুটো এমএলএ বা এমপি জোটানো যায়, সেই রাজনীতিই করে চলেছেন।
ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এই আদর্শহীনতাই আজ সবচেয়ে বড় সঙ্কট। তাই একদিনের সংগ্রামী বলে পরিচিত নেতা বা নেত্রী আর একদিন নীতিহীন, সুবিধাবাদী, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিকে পরিণত হন। অগণিত সাধারণ মানুষের জীবন-যন্ত্রণা তখন আর এঁদের বুকে ঢেউ তোলে না। দেশের মানুষ সামাজিক সাংস্কৃতিক অর্থনৈতিক সঙ্কটে জর্জরিত হয়ে গেলেও এই সব নেতানেত্রীরা নির্বিকার থাকেন, ডুবে থাকেন গদি দখলের লড়াইতে। মানুষ তাদের কাছে পরিণত হয় শুধু এক একজন ভোটারে। ক্ষমতার রাজনীতির এই পঙ্কিল আবর্তের সম্পূর্ণ বিপরীতে, উন্নত নীতি-আদর্শকে ভিত্তি করে সংগ্রামী বামপন্থার পতাকা হাতে আজ গণআন্দোলনের ময়দানে রয়েছে একমাত্র এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) দল। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা এ যুগের অন্যতম মহান মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষ দেখিয়েছেন, পুঁজিবাদই মানুষের যাবতীয় দুঃখ-দুদর্শার কারণ এবং একই সাথে নীতিহীন রাজনীতির মূল উৎস। তাই এই পচা-গলা পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে নানা ছলে-কৌশলে টিকিয়ে রাখার রাজনীতি কখনওই মানুষকে যথার্থ মুক্তির রাস্তা দেখাতে পারে না। বরং যে দল, যে নেতা এই ব্যবস্থার সেবা করবে, নানা ছলে তাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করবে, তারা নীতিহীন হতে বাধ্য। আজ মানুষকে মানুষের মতো মাথা তুলে বাঁচার এবং পুঁজিবাদী শোষণের জোয়াল থেকে মুক্তির সঠিক রাস্তা দেখাতে পারে একমাত্র যথার্থ বিপ্লবী দল এবং তার কমিউনিস্ট রাজনীতি।
তাই আজ যারা রাজনীতির নীতিহীনতা এবং সমাজের প্রবল অবক্ষয় দেখে দুঃখ পাচ্ছেন, উদ্বিগ্ন হচ্ছেন এবং এর হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করার কথা ভাবছেন, ন্যায়সঙ্গত গণআন্দোলনে সামিল হওয়া এবং সংগ্রামী বামপন্থী রাজনীতি-সংস্কৃতির ধারাকে শক্তিশালী করা ছাড়া তাদের সামনে অন্য কোনও রাস্তা নেই।