
এআইইউটিইউসি-র সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে কমরেড শঙ্কর সাহা ও শঙ্কর দাশগুপ্ত ১৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এক চিঠি পাঠান। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সরকারের ঢিলেঢালা ভূমিকার সমালোচনা করে চিঠিতে তাঁরা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ১৩ মার্চ ঘোষণা করে, করোনা ভাইরাস ‘হেলথ ইমার্জেন্সি’ নয় এবং ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকি, শিল্প ও কৃষিক্ষেত্রে যুক্ত শ্রমিকদের ওপর লকডাউন কী প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনারও প্রয়োজন বোধ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার।
এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে কয়েকটি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করে চিঠিতে তাঁরা বলেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরীক্ষা ও চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। চিঠিতে ডাক্তার-নার্স সহ সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য যথাযথ সুরক্ষার ব্যবস্থা করার দাবি তোলা হয়। দরিদ্র মানুষের জন্য উপযুক্ত পরিমাণে খাদ্যের ব্যবস্থা, আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য খাদ্য ও আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে চাকরির নিরাপত্তার বিষয়টিতে সরকারের নজর দেওয়ার কথা বলা হয়। বলা হয়, কোনও ক্ষেত্রেই যাতে ছাঁটাই না হয়, তা সরকারকে দেখতে হবে। চিঠিতে সরকারকে তাঁরা অনুরোধ করেন, বিশেষ পরিস্থিতির অজুহাতে শ্রমিকদের কাজের সময় যেন বাড়ানো না হয় এবং কাজের শর্তগুলির পরিবর্তন না করা হয়। সঞ্চয়ের উপর সুদ যাতে না কমানো হয়, প্রধানমন্ত্রীকে এই অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে। এছাড়াও দরিদ্র মানুষের হাতে এই কঠিন সময়ে যথেষ্ট পরিমাণ অর্থের জোগান দেওয়া, তাঁদের জন্য উপযুক্ত খাদ্য ও কাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিও তোলা হয় চিঠিতে।
সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড অশোক দাস মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে ওই একই দিনে প্রেরিত এক চিঠিতে লকডাউনের ফলে উদ্ভূত শ্রমজীবী মানুষের জীবনের সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ১০ দফা দাবি পেশ করেন।