২০১৬–’১৭ সাল থেকে কয়লার দাম কমেছে ৪০ শতাংশ, জি এস টি কমেছে ৭ শতাংশ, বিদ্যুৎ বন্টনে ক্ষতি কমেছে ২ শতাংশ, সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলির সাশ্রয় হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা৷ সি ই এস সি–র সাশ্রয় হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা৷
ফলে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি এখনই ৫০ শতাংশ মাশুল কমাতে পারে৷ কিন্তু তার বদলে সরকারি এস ই ডি সি এল এবং বেসরকারি সি ই এস সি উভয়েই ‘এমভিসিএ’–র নামে বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে চলেছে৷
বিদ্যুৎ মাশুল এখনই অর্ধেক করার দাবিতে বিদ্যুৎ গ্রাহক সংগঠন অ্যাবেকার ডাকে কয়েক হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক ২৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অবস্থানে সামিল হন৷ তার আগে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল হয়৷
অবস্থান থেকে অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যোৎ চৌধুরীর নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল প্রায় ১ লক্ষ ৮০ হাজার গ্রাহকের স্বাক্ষরিত দাবিপত্র মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে দেন৷ মন্ত্রী মাশুল কমানোর যুক্তি মানলেও সিইএসসি–কে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান৷ যদিও এসইডিসিএল বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের নির্দেশ সত্ত্বেও মাশুল কমায়নি কেন, এই প্রশ্নে তিনি নিরুত্তর থাকেন৷
অবস্থানে সভাপতিত্ব করেন বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি সঞ্জিত বিশ্বাস৷ বেশিরভাগ রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ মাশুল বেশি কেন, সে প্রশ্নের উত্তর সরকারের কাছে দাবি করেন গ্রাহকরা৷ সংগঠনের সহসভাপতি অনুকূল ভদ্র বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তাব পেশ করেন৷
প্রস্তাবে বলা হয়, বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি তাদের জন্য নির্দিষ্ট ক্যাপটিভ খনি থেকে কয়লা নিলে ইউনিট প্রতি মাত্র ২ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিদ্যুৎ দিতে পারে৷ অথচ সি ই এস সি ৭ টাকা ৩১ পয়সা এবং রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্ঢন কোম্পানি ৭ টাকা ১২ পয়সা দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করছে৷ অবিলম্বে কৃষিক্ষেত্রে এবং শহরের বস্তিবাসীদের সস্তায় বিদ্যুৎ দেওয়ার দাবি তোলেন বিভিন্ন বক্তা৷