প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধান, আলু, সবজি সহ ফসলের ক্ষতি এবং রাজ্য সরকারের উদাসীনতায় ঋণগ্রস্ত চাষিদের আত্মহত্যার প্রতিবাদে ২১ ডিসেম্বর সারা বাংলা প্রতিবাদ দিবস পালন করল অল ইন্ডিয়া কিসান খেতমজদুর সংগঠন। ওই দিন সারা রাজ্যের পাশাপাশি বেলদা, কেশিয়াড়িতে মিছিল হয় এবং সরকারের কাছে কৃষিঋণ মকুব সহ ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষিদের বিঘাপ্রতি ২৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ, বিনামূল্যে সার-বীজ সরবরাহ, ঋণমকুব, সারের কালোবাজরি রোধ প্রভৃতি দাবিতে সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি ২২ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়। রাজ্য কমিটির সদস্য দনা গোস্বামী এবং বিশ্বনাথ ঘোষ মন্ত্রীকে জানান, অকাল বর্ষণে রাজ্যের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ধান ও আলুচাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাঙ্ক ও গ্রামীণ মহাজন থেকে অত্যন্ত চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করায় আজ চাষিরা সর্বস্বান্ত, দিশেহারা। অবসাদগ্রস্ত হয়ে অনেকের অভাবিত অকাল প্রয়াণের খবরও আসছে। কৃষিমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয় সারা বাংলা আলু চাষি সংগ্রাম কমিটি। নেতৃত্ব দেন রাজ্য সম্পাদক প্রদ্যুৎ চৌধুরী, প্রভঞ্জন জানা, প্রদীপ মল্লিক প্রমুখ। তাঁরা বলেন, ডিডিএ, এডিএ, কেপিএসদের মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তসাপেক্ষে ধানের জন্য বিঘাপ্রতি ১৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২৩ ডিসেম্বর এআইকেকেএমএস আট দফা দাবিতে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর মহকুমাশাসকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখায়। কিষানমাণ্ডিতে দালালরাজ বন্ধ করা, জানুয়ারির মধ্যে ধান কেনার কাজ শেষ করা, সারের কালোবাজারি বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন দয়াল সিংহ, মোবাস্রা খাতুন, বিকাশ সিংহ, হারুন রশিদ, ইমরুল কায়েম প্রমুখ।