২৬ মে প্রবল সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া প্রভৃতির ফুলচাষ ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের অবিলম্বে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়ে ২৭ মে ‘সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতি’র পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রী এবং উদ্যানপালন মন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। কিন্তু রাজ্যের মুখ্যসচিব স্বাক্ষরিত দুয়ারে ত্রাণের যে নির্দেশিকা ঘোষণা করেছেন, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের সাহায্য দেওয়ার বিষয়ে কোনও উল্লেখ নেই। এজন্য সমিতির পক্ষ থেকে ৩০ মে মুখ্যমন্ত্রী ও উদ্যানপালন দপ্তরের মন্ত্রীকে পুনরায় স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
সারা বাংলা ফুলচাষি ও ফুলব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক বলেন, গত বছর লকডাউনে ফুলচাষিরা ভীষণভাবে সর্বস্বান্ত হয়েছিল। তার উপর এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষিরা দিশেহারা। ক্ষুদ্র ফুলচাষিরা উপযুক্ত সরকারি সাহায্য না পেলে পরবর্তী চাষে হাতই দিতে পারবে না। সেজন্য দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচিতে ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষিদের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে কৃষক ও খেতমজদুর সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক পঞ্চানন প্রধান বলেন, অতিবৃষ্টির দরুন সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হলেও ওই চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি জিও-তে উল্লেখনেই। উক্ত চাষিদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।