কোভিড মোকাবিলায় সরকারি তৎপরতার দাবি রাজ্য জুড়ে

নদীয়া

নদীয়াঃ করোনা মোকাবিলায় দলের নদীয়া জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ১০ মে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে নানা দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়। দাবিগুলি হল রানাঘাট মহকুমায় ৩০০ বেডের একটি করোনা হাসপাতাল চালু করা, জেলায় ন্যূনতম করোনা বেডের সংখ্যা ১০০০ করা, প্রতিটি ব্লকে একটি করে সেফ হোম গড়ে তোলা,  প্রতিটি পঞ্চায়েতে একটি করে অক্সিজেন বুথ তৈরি করা,  এমার্জেন্সি রোগীদের জন্য প্রতিটি ব্লক হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা, অতি দ্রুত সমস্ত মানুষকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া, করোনা রোগীকে সেফ হোম আইসোলেশন সেন্টার কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারি উদ্যোগে বিনা ভাড়ায় অ্যাম্বুলেন্স সরবরাহ এবং ওষুধ ও অক্সিজেনের কালোবাজারি বন্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ। স্মারকলিপি দেন দলের জেলা কমিটির সদস্য হররোজ আলী শেখ,  প্রবীর দে। তেহট্ট-২ নম্বর ব্লকেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

আসানসোলঃ ১০ মে, দলের আসানসোল লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে কোভিড পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মানুষের পাশে সরকার এবং প্রশাসনকে অবিলম্বে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলাশাসক এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে স্মারকলিপি দেওয়া হয় এবং দপ্তরের সম্মুখেকোভিড বিধি অনুসরণ করেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে সঞ্জয় চ্যাটার্জী কর্মসূচির নেতৃত্বদেন। কোভিড টেস্ট বাড়ানো, অক্সিজেন ও ওষুধ নিয়ে কালোবাজারি বন্ধ, সমস্ত ক্লাবগুলিতে ক্ষণস্থায়ী কোভিড কেন্দ্র গড়ে তোলা এবং অতি দ্রুত ভ্যাকসিন | দেওয়ার ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়। রাজ্যের সর্বত্র হিংসা বন্ধের দাবিও জানানো হয়।

কোলাঘাট

কেশিয়াড়িঃ ১১ মে,  কোভিড পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত টিকাকরণ, অক্সিজেন সরবরাহ, কেশিয়াড়ী ব্লকে পৃথক কোভিড হাসপাতাল তৈরি, ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধ সহ একাধিক দাবিতে কেশিয়াড়ী বিডিওর কাছে ডেপুটেশন দিল এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)। অকাল বর্ষণের জেরে বোরো চাষে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া, পঞ্চায়েত সমিতি দ্রুত গঠন, সরকারি উদ্যোগে লাভজনক মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান ক্রয় সহ ব্লকের সার্বিক উন্নয়নের দাবিও জানানো হয়। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিডিও। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স্নেহাশীষ আইচ, ঝড়েশ্বর রাউৎ, ফটিক বেরা, শম্ভ গুড়িয়া, ডাক্তার সিং প্রমুখ। | কোলাঘাট ও করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় অবিলম্বে ব্লকের সংক্রমিত এলাকায় বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক করোনা টেস্ট কোলাঘাট গ্রামীণ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা, ব্লকে আইসাোলেশন সেন্টার বাড়ানো, দ্রুত সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া, সরকারি ব্যবস্থাপনায় রোগী পরিবহণ, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিভৃতাবাসে রাখার বন্দোবস্ত ও খাদ্য সরবরাহ প্রভৃতি তেরো দফা দাবিতে ১১ মে দলের কোলাঘাট ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে পাঁচ জনের প্রতিনিধিদল বিডিওকে স্মারকলিপি দেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন নারায়ণ চন্দ্র নায়ক, মধুসূদন বেরা, শংকর মালাকার, প্রশান্ত

পড়িয়া, অর্জুন ঘোড়াই প্রমুখ। বিডিও দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

বিধাননগরঃ ১৩ মে, দলের বিধাননগর লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে বিধানগরের এসডিও-র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন কমরেড জয়ন্ত জানা ও দিলীপ দাশ অধিকারী। এসডিও-র কাছে প্রতিনিধি দল দাবি জানান বিধাননগর এলাকায় কোভিড মোকাবিলার দায়িত্ব বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেওয়ার বদলে সরকারি পরিকাঠামো বাড়াতে হবে, সরকারি টেস্টিং সেন্টার খুলতে হবে, ভ্যাক্সিন বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে। তারা বিধাননগর এলাকায় কোভিডে মৃতদের সৎকারে উপযুক্ত এবং সম্মানজনক ব্যবস্থার দাবি জানান। এসডিও সমস্ত দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।

কলকাতা পৌরসভার ১৬ নম্বর বরোতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়

বড়িশা সরশুনাঃ ১৭ মে, কলকাতার বড়িশা সরশুনা এলাকায় দলের লোকাল কমিটির পক্ষ থেকে কলকাতা পৌরসভার ১৬ নম্বর বরোতে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরাতার দাবি জানায় প্রতিনিধি দল। | কলকাতা পৌরসভার প্রায় সমস্ত বরোতেই অনলাইনে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।

গণদাবী ৭৩ বর্ষ ৩৩ সংখ্যা