কৃষি ঋণ মকুব, কৃষিপণ্যের লাভজনক দাম, সরকারি বিপণন কেন্দ্র খোলা, এনআরসি রোধ, এনআরসি–র আতঙ্কে মৃত মোক্তার মিঞা সহ অন্যদের এবং কৃষিঋণ পরিশোধ করতে না পেরে আত্মহত্যাকারীদের পরিবারের আত্মীয়দের চাকরি ও এককালীন ৬ লক্ষ টাকা দেওয়া প্রভৃতি ন’ দফা দাবিতে ৩১ অক্টোবর জেলাশাসকের মাধ্যমে রাজ্যপালের উদ্দেশে স্মারকলিপি জমা দেয় ‘কোচবিহার জেলা আলু–পাট–ধান চাষি সংগ্রাম কমিটি’৷ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন ডিএম–এর প্রতিনিধি একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট৷
সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কুপেন বর্মন বলেন, বাংলায় এনআরসি চালুর হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর অন্তঃসারশূন্য অভয়বাণী কোনও মানুষের কাজে লাগছে না৷ ১৯৭৪ সালে জেলার মহাফেজখানা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হওয়ায় কোচবিহার জেলার জনসাধারণ দিশাহারা হয়ে রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় বহু টাকা খরচ করে রেকর্ড সংগ্রহ করতে গিয়ে দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ছেন৷ এ সমস্যা নিরসনে মুখ্যমন্ত্রীকে সমস্ত দায়িত্ব নিতে হবে৷
তিন শতাধিক সংগ্রামী কৃষকের মিছিল শহর পরিক্রমা করে ডিএম অফিসে বিক্ষোভ দেখায়৷ বিশিষ্ট কৃষক নেতা নৃপেন কার্যি বলেন, এনআরসি রুখতে সমস্ত স্তরের নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে৷ আন্দোলন পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীরেন মণ্ডল, কৃষ্ণ বর্মন, আব্দুল করিম মিঞা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ৷