সম্প্রতি রাজ্য সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গের একমাত্র টিবি হাসপাতাল যাদবপুরের কেএস রায় টিবি হাসপাতালকে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকারি ডাক্তারদের সংগঠন এসডিএফ এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে।
এক বিবৃতিতে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডাঃ সজল বিশ্বাস বলেন, বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী ও জনস্বাস্থ্য আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ডাঃ কুমুদশঙ্কর রায় সর্বস্ব দিয়ে দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসার জন্য গড়ে তুলেছিলেন এই প্রতিষ্ঠানটি। এই হাসপাতালের জমির বেশিরভাগ অংশই পূর্বতন সিপিএম সরকার মাত্র এক টাকার বিনিময়ে কর্পোরেট ব্যবসায়ী কেপিসি-র হাতে তুলে দেয়। এরপর থেকেই সিপিএম এবং পরবর্তী তৃণমূল সরকারের উত্তরদাসীনতায় টিবি হাসপাতালটি ধুঁকতে থাকে। বতর্মানে সেটিকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল সরকার।
ডাঃ বিশ্বাস বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে টিবি রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট টিবি রোগীর সংখ্যা, যে রোগীদের বাড়িতে চিকিৎসা করার মানে, রোগের আরও ছড়িয়ে পড়া। এ থেকে বাঁচতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এই রোগীদের হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা দরকার। বতর্মানে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক টিবি রোগী ভারতের বাসিন্দা। এ রাজ্যে এক লক্ষ মানুষ প্রতি সক্রিয় টিবি রোগী প্রায় এক হাজার। এই অবস্থায় এই বিপুল সংখ্যক ড্রাগ-রেজিস্ট্যান্ট টিবি রোগীকে ভর্তির জন্য আর কোনও হাসপাতাল থাকছে না। ফলে বিপুল পরিমানে বাড়বে এই রোগী। বাড়বে টিবিতে মৃতের সংখ্যাও। ২০২৫ সালের মধ্যে টিবি নিয়ন্ত্রণের সরকারি টার্গেট প্রহসনে পরিণত হবে।