ভারত সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা দেশ। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর। অথচ এই দেশে ‘নেই’ কথাটা শুনতেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বেকার যুবক-যুবতীর চাকরি নেই, চাষির ফসলের ন্যায্য দাম নেই, শিক্ষা নেই, চিকিৎসার সুযোগ নেই, নারীর নিরাপত্তা নেই। এত কিছু নেই-এর সাথে যুক্ত হয়েছে নাগরিকত্বনেই। রাষ্ট্র মানুষকে বাধ্য করছে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে। ইতিহাসে এ ঘটনা বিস্ময়কর! অতীতে রাজারা প্রজার উপর অকথ্য অত্যাচার করলেও কোনও রাজা বলেনি যে তোমরা আমার রাজ্যের প্রজা নও। তোমরা অন্য রাজ্যের। তারা বলেনি, এখানে থাকতে হলে তোমরা আগে প্রমাণ কর এই রাজ্যের প্রজা।
রাজতন্ত্রকে ছেড়ে আমরা এসেছি গণতন্ত্রের যুগে, হয়েছি আধুনিক। আজ যখন জরুরি, বিভেদ ভুলে সাম্যের পথে চলা, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে এলেন ধর্মের পরিচয়ে নাগরিকত্বের ধারণা। তাই প্রশ্ন উঠছে, আমি দেশের নাগরিক না হলে আমার ভোটে তুমি দেশের প্রধানমন্ত্রী হও কী করে? পার্কসার্কাস সহ অসংখ্য জায়গায় প্রতিবাদীরা, মহিলারা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সরকারের এই হাস্যকর ও অদ্ভূত আইনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে। তিনমাস হয়ে গেল, সরকার কোনও প্রশ্নের যুক্তিসঙ্গত উত্তর দিচ্ছে না। হয়তো সরকারের কাছে উত্তর নেই। আমাদের নেই অনেক, এ কথা ঠিক। কিন্তু আছে অসংখ্য প্রশ্ন– কেন নেই?
অনুরূপা দাস, বাওয়ালী, বজবজ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা