দিল্লির ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের ঐক্যমঞ্চ সংযুক্ত কিসান মোর্চার অন্যতম শরিক এআইকেকেএমএস-এর সর্বভারতীয় সভাপতি কমরেড সত্যবান ও সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর ঘোষ ১৯ নভেম্বর এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আদানি-আম্বানির স্বার্থবাহী তিন কালা কানুন প্রত্যাহার করার যে ঘোষণা করেছেন তাকে এআইকেকেএমএস দেশের সংগ্রামী কৃষক সহ সর্বস্তরের জনগণের অভূতপূর্ব বিজয় বলে তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছে। এই বিজয় অর্জনের জন্য সাতশো কৃষককে আত্মবলিদান দিতে হয়েছে। বিজেপি সরকারের লাঠি-গুলি-টিয়ারগ্যাসকে অগ্রাহ্য করে, শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষার পরোয়া না করে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হয়েছে। এই আন্দোলন দুনিয়ার গণআন্দোলনের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসাবে বহুদিন ধরে মেহনতি মানুষের হৃদয়ে প্রেরণা যোগাবে।
তাঁরা বলেন, আমরা মনে করি প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা যথেষ্ট নয়। উপযুক্ত আইনি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে এই ঘোষণার বাস্তবায়ন করতে হবে, সাথে সাথে বিদ্যুৎ বিল-২০২১ প্রত্যাহার, এমএসপি আইনসম্মত করা ও কৃষকদের কাছ থেকে কৃষিপণ্য কেনার সরকারি ব্যবস্থা করতে হবে। এই সব দাবির ভিত্তিতেই কৃষকরা এক বছর ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সংগ্রামী কৃষকদের এই বিজয় আবারও প্রমাণ করল, জনগণই শেষ কথা বলে। তারাই পারে স্বৈরাচারী শাসকদের সমস্ত দম্ভকে চূর্ণ করে ইতিহাসের চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। সংগ্রামে পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ গ্রহণ করছি।
শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে সংগ্রামী কৃষকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই বিজয় দেশে শ্রমিক কৃষক ঐক্যকে সুদৃঢ় করবে এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনকে শক্তিশালী করবে।
এই আন্দোলনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে গেছে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি ডাঃ বিনায়ক নারলিকার এবং সাধারণ সম্পাদক ডাঃ বিজ্ঞান বেরা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা গর্বিত যে, এই মহৎ সংগ্রামে আমরা শুরু থেকেই চাষিদের পাশে ছিলাম। এই বিজয় স্বাস্থ্যব্যবস্থার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে এবং জনমুখী স্বাস্থ্যআন্দোলন গড়ে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে।