দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার কুলতলির কৃষকরা তাঁদের সেচ ব্যবস্থায় অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি মানতে বাধ্য করলেন স্টেশন ম্যানেজারকে। পিয়ালি ক্লোজার থেকে দেউলবাড়ি পর্যন্ত খাল খনন করে সেচের বিকল্প ব্যবস্থার দাবি দীর্ঘদিনের। যতদিন তা না হচ্ছে অস্থায়ী কানেকশনের মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সংযোগের দাবি জানিয়েছিল অ্যাবেকা এবং সেই অনুযায়ী কুলতলি কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে অস্থায়ী কানেকশন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এ বছর কুলতলি বিদ্যুৎ অফিসের স্টেশন ম্যানেজার কোনও মতেই অস্থায়ী কানেকশন দিতে রাজি হননি। প্রতিবাদে অ্যাবেকার কুলতলি শাখার পক্ষ থেকে ২৭ নভেম্বর স্টেশন ম্যানেজারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। কিন্তু স্টেশন ম্যানেজার অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে অস্বীকার করেন। বাধ্য হয়ে ২৩ ডিসেম্বর অ্যাবেকার পক্ষ থেকে লাগাতার অবস্থানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
স্টেশন ম্যানেজার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অবস্থানরত কৃষকরা তাঁর গাড়ি আটকে দেন। অবশেষে দাবি মেনে অস্থায়ী বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করতে বাধ্য হন তিনি।
মণিরতটঃ ২৪ ডিসেম্বর দুপুর ২টা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণায় মণিরতট সিসিসি-তে একই দাবি নিয়ে মূলত দুশোর বেশি কৃষিবিদ্যুৎ গ্রাহকের উপস্থিতিতে ডেপুটেশন ও সভা হয়। এখানেও কর্তৃপক্ষ দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন। সিসিসি কমিটির সভাপতি আনসার সেখ কর্মসূচি পরিচালনা করেন। সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবী রাজারাম মণ্ডল। জেলার সহ সভাপতি দিব্যেন্দু মুখার্জী বিদ্যুৎ বিষয়ে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। স্থানীয় বর্ষীয়ান নেতা সওকত সরদারও উপস্থিত ছিলেন।