এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)–এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে বলেন,
কাশ্মীরে সিআরপিএফ সেনাদের হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র প্রতিবাদ করছি৷ এই ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি৷ ভারত সরকার এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্ত্রাসবাদীদের দায়ী করেছে৷ এ কথা সকলেরই জানা যে, ভারত সরকারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীরাই তালিবান, আল কায়েদা, আইসিস, জৈশ মহম্মদ ইত্যাদি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলিকে নিজস্ব স্বার্থে মদত দিয়ে গড়ে তুলেছে৷ আবার বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক শক্তিও নিজেদের স্বার্থে কোনও হত্যাকাণ্ড চালিয়ে তাকে সন্ত্রাসবাদীদের কাজ বলে অভিহিত করছে৷
কাশ্মীরের পুলওয়ামায় এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কার জানিয়েও জনমানসে এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যে, ভারত সরকার যখন কাশ্মীরকে বাস্তবে রাষ্ট্রপতি শাসন ও সামরিক শাসনের আওতায় রেখেছে, তখন সেখানে এই ঘটনা ঘটতে পারল কী করে৷ এই প্রশ্নে কি ভারত সরকার নিজ দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে? আরও প্রশ্ন উঠছে যে, দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা পূর্ণাঙ্গ রূপে কার্যকর না করে কাশ্মীরী জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে উপেক্ষা করে যেভাবে দমন–পীড়ন চালানো হচ্ছে, ভুয়ো সংঘর্ষ দেখিয়ে নিরীহদের হত্যা করা হচ্ছে, পেলেট বন্দুক ব্যবহার করে বহুজনকে অন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, যুবকদের গুমখুন করা হচ্ছে, যার সংবাদ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমেই বহুবার প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বোঝা যায় যে, কাশ্মীরের জনগণের মধ্যেও তীব্র ভারত সরকারবিরোধী মানসিকতা গড়ে উঠেছে, যাকেই দেশ–বিদেশের নানা মতলববাজ শক্তি ব্যবহার করছে৷
আমরা মনে করি, সামরিক শাসন ও দমন–পীড়ন নয়, একমাত্র শান্তিপূর্ণ আলাপ–আলোচনার দ্বারা কাশ্মীরের জনগণের আস্থা অর্জন করে কাশ্মীর সমস্যার ন্যায়সঙ্গত এবং স্থায়ী সমাধান করার পথ গ্রহণ করতে হবে৷ পুলওয়ামার হত্যাকাণ্ডকে ভিত্তি করে দেশে উগ্র জাতীয়তা ও সাম্প্রদায়িক মানসিকতায় ইন্ধন দিয়ে তাকে নির্বাচনী স্বার্থে কাজে লাগানোর বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য আমরা জনগণের কাছে আবেদন করছি৷