এ আই ইউ টি ইউ সি-র রাজ্য সম্পাদক অশোক দাস ২১ সেপ্টেম্বর এক বিবৃতিতে বলেন, করোনা সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। পরিযায়ী শ্রমিকদের অবস্থা বর্ণনাতীত। পশ্চিমবঙ্গের নির্মাণ শ্রমিক, হকার, বিড়ি শ্রমিক সহ বিভিন্ন অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের দুর্দশা কল্পনাতীত। বিড়ি শ্রমিকদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কল্যাণ প্রকল্প আছে। পশ্চিমবঙ্গে সরকারি পরিচয় প্রাপ্ত বিড়ি শ্রমিকের সংখ্যা ১৫ লক্ষের বেশি। ৮ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক এখনও সরকারি পরিচয় পত্র পাননি। কারণ বিগত ২ বছর পরিচয় পত্র দেওয়ার কাজ বন্ধ আছে। এই কারণে লকডাউনের ফলে কাজ হারা বিড়ি শ্রমিকরা কল্যাণ তহবিল থেকে কোনও সাহায্য পাননি।
পশ্চিমবঙ্গে অসংগঠিত শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পে (এসএসওয়াই) ১ কোটি ২২ লক্ষের বেশি শ্রমিক নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন। এঁদের মধ্যে নির্মাণ কম¹ ও পরিবহণ কম¹দের জন্য কল্যাণ প্রকল্পের তহবিল আছে। এই তহবিলে কয়েক হাজার কোটি টাকা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যে কর্মহারা কোনও শ্রমিককেই সাহায্য করেনি রাজ্য সরকার। যদিও এখানে উল্লেখ্য দিল্লি সহ অন্যান্য রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিল থেকে অনুদান দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয় স্বাভাবিক সময়ে এসএসওয়াই প্রকল্প থেকে তালিকাভূক্ত শ্রমিকরা শিক্ষা, স্বাস্থ্য সহ বিভিন্ন বিষয়ে আর্থিক অনুদান পান। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান পাওয়ার আবেদন পত্র অনলাইনে জমা নেওয়ার কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ আছে। ফলে শ্রমিকার কোনও সাহায্যই পাচ্ছেন না।
এ আই ইউ টি ইউ সি-র পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মে মাসে নির্মাণ সহ অন্যান্য শ্রমিকদের অনুদান দেওয়ার দাবি জানানো হয়। কিন্তু ফলপ্রসূ কিছু না হওয়ায় পুনরায় ২৭শে আগস্ট শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের সাথে দেখা করে এই দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ১৫ দিনের মধ্যে এস এস ওয়াই ‘র অনলাইন আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হবে। কিন্তু এখনও এই কাজ শুরু হয়নি। তাই আমরা দাবি করছি, অবিলম্বে আবেদন পত্র জমা নেওয়া ও অনুদানের টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে হবে এবং নির্মাণ শ্রমিক সহ সকল কাজ হারা শ্রমিকদের ১০ হাজার টাকা এককালীন সাহায্য করতে হবে।