কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে কাজের অধিকারকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি করলেন অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার (এ আই ইউ টি ইউ সি)–র সাধারণ সম্পাদক কমরেড শংকর সাহা৷ ১৫ জুন নয়া দিল্লিতে অর্থমন্ত্রীর ডাকা এই বৈঠকে তিনি বলেন, প্রতি বছর প্রথা মাফিক শ্রমিক সংগঠনগুলির সাথে অর্থমন্ত্রী বৈঠক করলেও বাজেটে শ্রমিক স্বার্থের প্রতিফলন ঘটে না৷ সেখানে কর্পোরেট মালিকদের স্বার্থেই থাকে অসংখ্য ঘোষণা৷ যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের স্বার্থ কী করে রক্ষা করা যায়– অর্থমন্ত্রীর এই প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতেই কমরেড শংকর সাহা শুরুতেই কাজের সাংবিধানিক অধিকারের দাবি তুলে জানান, প্রত্যেক বেকারকে সরকারি উদ্যোগে কাজ দিতে হবে এবং যাঁরা কাজ হারিয়েছেন তাঁদের বেতনের সমান ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷
দক্ষতার অভাব কাজ না পাওয়ার অন্যতম কারণ কি না, এ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে শংকর সাহা বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার৷ সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রচার তোলা হয়৷ উদাহরণ হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন, উত্তরপ্রদেশে ৩৬৮টি পিওন পদের জন্য ২৩ লাখ কর্মপ্রার্থীর আবেদন করার ঘটনাটির কথা৷ এই চাকরির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি হলেও আবেদনকারীদর মধ্যে বিএ, এমএ এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারীরাও ছিলেন৷ তামিলনাড়ুতে ১৪টি সুইপার পদের জন্য আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৪,৬০০, যাঁদের অনেকেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে রেঙ্ক করেছেন৷ তিনি বলেন ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেও দেশে এত বেকার যে, বহু ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে৷ কলেজের প্রিন্সিপালরা অধ্যাপকদের বলছেন, ছাত্র ধরে আনুন, নইলে চাকরি থাকবে না৷ এতেই বোঝা যায় বেকার সমস্যা কত তীব্র এবং অবশ্যই এর কারণ দক্ষতার অভাব নয়৷ আসলে শাসক শ্রেণি দক্ষতার অভাবকে চিহ্ণিত করে বেকার সমস্যার মূল কারণ এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে আড়াল করতে চায়৷
এরপর তিনি প্রতারণামূলক ‘ফিক্সড টার্ম এমপ্লয়মেন্ট’ বাতিলের দাবি জানান৷ এদিন ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের তরফে শ্রমজীবী মানুষের বিভিন্ন অংশের দাবিতে যৌথ স্মারকলিপি অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া হয়৷