কলকাতার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসা (নেফ্রোলজি) বিভাগের একমাত্র শিক্ষক চিকিৎসককে রাজ্য সরকার বদলি করে দেওয়ার ফলে ওই হাসপাতালে কিডনির চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। রাজ্যের সবচেয়ে প্রাচীন ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মেডিকেল কলেজেরই এই অবস্থা হলে জেলা স্তরের ভয়াবহ অবস্থা সহজেই অনুমান করা যায়। মেডিকেলে কিডনির চিকিৎসায় অচলাবস্থা কাটানোর দাবিতে ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের সামানে বিক্ষোভ দেখায় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার। প্রিন্সিপ্যাল ও সুপারকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। মেডিকেল কলেজের ইমারজেন্সি গেট থেকে প্রিন্সিপ্যাল অফিস পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক ডাঃ অংশুমান মিত্র, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক ডাঃ বিপ্লব চন্দ্র, কলকাতা জেলা সম্পাদক ডাঃ নীলরতন নাইয়া, জেলা সহ-সভাপতি সিস্টার উন্নতি সাহা প্রমুখ। বিক্ষোভে বহু রোগীর পরিজনরাও যোগ দেন। তাঁরা এই হাসপাতালের নানা খামতির কথা তুলে ধরেন। চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি রোগী ও তাদের পরিজনরাও আন্দোলনের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। অবিলম্বে কিডনির চিকিৎসা শুরু করা, সমস্ত স্পেশালিটি ও সুপার-স্পেশালিটি বিভাগে ডাক্তার নিয়োগ সহ সার্বিক পরিকাঠামো বজায় রাখার দাবি জানানো হয়। দাবি ওঠে প্রমোশন ও বদলি নীতির স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
প্রিন্সিপাল সমস্ত দাবির যৌক্তিকতা মেনেও তাঁর নিজের অসহায়তার কথা ব্যক্ত করেন। কলকাতা মেডিকেল কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানকেও যে আমলাতন্ত্রের গেরোয় বেঁধে রাজ্য সরকার ঠুঁটো করে রেখেছে তা তিনি কার্যত স্বীকার করে নেন।