রক্তস্নাত একুশের বিজয়গাথা বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে, ধর্ম–ভাষার গণ্ডি অতিক্রম করে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বের ইতিহাসে৷ রফিক–সালাম–বরকত-জব্বার সহ অসংখ্য প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল বাংলা ভাষার অধিকার৷ সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে তেজোদ্দীপ্ত সংগ্রামে উজ্জ্বল হয়েছিল সেই প্রতিবাদী আন্দোলন৷
সেই প্রেরণাময় ‘একুশ’কে শ্রদ্ধায়, আবেগে স্মরণ করল ‘প্রোগ্রেসিভ কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন’, কলকাতার হাজরা মোড়ে৷ অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গীত গোষ্ঠী উদ্বোধনী সঙ্গীত হিসাবে পরিবেশন করে সেই বিখ্যাত গান, ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’৷ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের বহু সাংস্কৃতিক সংস্থা অংশগ্রহণ করে এই স্মরণ অনুষ্ঠানে৷ গানে–কথায়–আবৃত্তিতে নিজেদের শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা৷ দিনটির তাৎপর্য এবং পিসিএ–র উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহ্বায়ক তপন সামন্ত৷ চারণিক, সৃজনী, উইমেন্স কালচারাল ফোরাম, সাম্পান, টালিগঞ্জ মনীষী স্মরণ কমিটি, সরশুনা সঙ্গীত গোষ্ঠীর পরিবেশনা শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছে৷ আপ্লুত করেছে চারণিক–এর শ্রুতিনাটক৷ ভাষা–সংস্কৃতি–সভ্যতা রক্ষার সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় আয়োজিত ২১ ফেব্রুয়ারি স্মরণের এই অনুষ্ঠান অনুরণন তুলেছে জনমনে৷