বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সংগঠন অল বেঙ্গল ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন (অ্যাবেকার) ডাকে ২৪ জুলাই ১০ হাজার স্বাক্ষর নিয়ে কলকাতায় সিইএসসি-র সদর দপ্তরে বিক্ষোভ দেখান বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। তারা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান, এফপিপিএএস-এর নামে গ্রাহকদের উপর চাপানো অতিরিক্ত সারচার্জ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এবং ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ আর্থিক বছরের সিইএসসি-র হিসাব ক্যাগ-কে দিয়ে পূর্ণাঙ্গ অডিট না করানো পর্যন্ত বকেয়া আদায় চলবে না। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন অ্যাবেকার সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস সহ অন্যরা। পুলিশ বাধা দিলে গ্রাহকদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়।
এ প্রসঙ্গে অ্যাবেকা নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করে সিইএসসি বিদ্যুতের বিল বাড়িয়ে দিল’, মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। এটা প্রশাসনিক ব্যর্থতা ছাড়া কিছু নয়।
অন্য দিকে বিজেপি এর বিরুদ্ধে আন্দোলনের যে ভান করছে, তা অনৈতিক এবং রাজ্যবাসীর সাথে প্রতারণা। কেন্দ্রীয় সরকারের শক্তি মন্ত্রকের বিদ্যুৎ সংশোধনী বিধি ২০২২-কে হাতিয়ার করে সিইএসসি গ্রাহকদের বিলে এফপিপিএএস নামে অতিরিক্ত সারচার্জ চাপাতে শুরু করেছে। রাজ্য বিজেপি নেতারা জনগণকে এ কথা বলছেন না। সিইএসসি এপ্রিল ২০২৩-এর বিল থেকে এই অতিরিক্ত সারচার্জের হিসাব প্রতি মাসে বিভিন্ন শতকরা হারে দেখিয়ে মুলতুবি রেখে যাচ্ছিল। এর বিরুদ্ধে এক বছরের বেশি সময় ধরে অ্যাবেকার নেতৃত্বে প্রচার ও স্বাক্ষর সংগ্রহ চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের সময় সিইএসসি ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ আর্থিক বর্ষে বকেয়া হিসাবে ২,৪৭১ কোটি টাকা আদায়ের জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে আবেদন জানায়। এর বিরুদ্ধে অ্যাবেকা প্রতিবাদ জানিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করে। নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত সারচার্জ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তীব্র গ্রাহক আন্দোলন চলবে।