প্রধানমন্ত্রী বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ চার বছরে নতুন চাকরি তো দূরের কথা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্ট বলছে বরং কাজ কমেছে ০.১ শতাংশ৷ একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেরও৷ অথচ সারা দেশে শূন্যপদ কয়েক কোটি৷ নিয়োগ না করে এই পদগুলোকে তুলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলো৷
এই পরিস্থিতিতে সমস্ত বেকারের চাকরি, তা না হওয়া পর্যন্ত বেকারভাতা দেওয়া, সব শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ ইত্যাদি দাবিতে লক্ষাধিক যুবকের স্বাক্ষর সংবলিত স্মারকলিপি নিয়ে ৩০ আগস্ট দু’হাজার যুবক রাজভবন অভিযান করে এআইডিওয়াইও–র নেতৃত্বে৷ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল রাজ্যপালের কাছে গণস্বাক্ষর সংবলিত দাবিপত্র দেয়৷
সম্প্রতি ৮ জন সমাজকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের এই স্বৈরাচারী পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ করা হয় রানি রাসমণি অ্যাভেনিউয়ে যুব সভার শুরুতেই৷ পরে রাজ্য সম্পাদক কমরেড নিরঞ্জন নস্কর বলেন, ‘মর্যাদা নিয়ে বাঁচার দাবিতে আন্দোলন ছাড়া আমাদের সামনে আর কোনও পথ নেই৷’ অল ইন্ডিয়া কমিটির সহ সভাপতি কমরেড জুবের রব্বানি বলেন, দেশে প্রতি ১২ মিনিটে একজন করে যুবক আত্মহত্যা করছে৷ এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, যা রুখতে হলে লাগাতার আন্দোলন চাই৷ ফেব্রুয়ারিতে পার্লামেন্ট অভিযানের প্রস্তুতি চলছে৷
(৭১ বর্ষ ৬ সংখ্যা ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮)