কর্পোরেট স্বার্থবাহী বাজেটের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় কমিটির বিবৃতি

কেন্দ্রীয় বাজেটের ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)-এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ২৩ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এতদিন ধরে যে সমস্ত নীতি ও পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে সেগুলি কতদূর পালন করা হল– তার কোনও খতিয়ান বা ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পেশই করেননি। ফলে আগের বছরগুলিতে বিভিন্ন নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে সরকারের কাজের বাস্তব চেহারা কী, তা নিয়ে জনসাধারণকে অন্ধকারে রাখা হল। যার ফলে দেশবাসীর ক্রমবর্ধমান দুর্দশা, অভাব-অনটন, আয় কমে যাওয়া, বেকারত্ব, ছাঁটাই সহ যে সমস্ত সমস্যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে, সেগুলির ব্যাপারে দেশের মানুষের কাছে উত্তর দেওয়ার দায়বদ্ধতাকেই সরকার অস্বীকার করেছে। অন্য দিকে একচেটিয়া মালিকদের করছাড় এবং সহজে ব্যবসা-বাণিজ্য করার নীতি জোরদার করার নামে নানা অর্থনৈতিক উৎসাহ-ভাতা সহ একগুচ্ছ সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি সরকারের পক্ষপাতিত্বই ধরা পড়েছে।

নিয়মরক্ষার খাতিরে কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বলতে গিয়ে নিছক কিছু দক্ষতা বৃদ্ধির পদক্ষেপের ইঙ্গিত করা হয়েছে। মাসিক মাত্র ৫ হাজার টাকা ভাতায়, স্থায়ী চাকরির কোনও নিশ্চয়তা ছাড়াই এক বছরের জন্য কোম্পানিগুলিতে শিক্ষানবিশির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ঘুরপথে মালিকদের সস্তা শ্রমিক জোগানোর পাশাপাশি বাড়তি আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী দাবি করেছেন, তালিকাভুক্ত ২২টি ফসলের ক্ষেত্রে উৎপাদন খরচের ওপর ৫০ শতাংশ হারে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) বাড়ানো হয়েছে। এটা যে আসলে কৃষকদের দাবি অনুযায়ী প্রকৃত উৎপাদন খরচের দেড়গুণের অনেক কম, সে সত্যকে চাপা দেওয়া হচ্ছে। আমরা বাজেটের নামে এই প্রহসনের তীব্র নিন্দা করছি। এই সার্বিক কর্পোরেট স্বার্থবাহী বাজেটের বিরুদ্ধে সারা দেশের নিপীড়িত মানুষের প্রতি ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের আহ্বান জানাচ্ছি।