করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়, সিনেমা হল, খেলা ইত্যাদি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। এই অবস্থায় কী হবে সিএএ-এনপিআর-এনআরসি বিরোধী গণঅবস্থানগুলির? কী ভাবছে দিল্লির শাহিনবাগ, কলকাতার পার্ক সার্কাস-জাকারিয়া-বেলগাছিয়া সহ নদিয়ার পলাশীর লাগাতার ধর্নার আন্দোলনকারীরা? শাহিনবাগের আন্দোলন তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। দিল্লির গণহত্যার অভিঘাত সত্ত্বেও সেই আন্দোলনের মশাল প্রজ্জ্বলিত। প্রতিবাদী মানুষদের সাফ কথা ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত জমায়েত চলবে।’ শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘সিনেমা হল বা আইপিএল বন্ধ করেছে সরকার। এগুলো বিনোদনের বিষয়। কিন্তু আমাদের আন্দোলন প্রাণের তাগিদে। দুটোর কোনও তুলনা হতে পারে না।’ (এই সময়-১৫।৩।২০২০)।
পার্ক সার্কাসও অনড়। দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই ধর্না। প্রতিদিন শতশত লোক জমায়েতে আসছেন। ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে সতর্ক থাকা সত্ত্বেও তারা অনাগরিক বানিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলনকারীদের অনেকেই মাস্ক পরছেন। আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়, ‘‘আমরা এখানে অবস্থানকারীদের সবরকম ভাবে সচেতন করছি। করোনা আটকাতে কী করণীয়, দু’ঘণ্টা পরপর মাইকে তা ঘোষণা করছি।”(এই সময়-১৫।৩।২০২০) জাকারিয়া স্ট্রিটের অবস্থানকারী জানালেন, করোনা ভাইরাস বিপজ্জনক, কিন্তু এনআরসি কম বিপজ্জনক নয়। যতদিন না তা সরকারিভাবে প্রত্যাহৃত হচ্ছে অবস্থান আন্দোলন চলবে। পলাশীও বলছে আন্দোলন চলবে। এ দিকে সারা বাংলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটি ১ এপ্রিল এনপিআরের বিরুদ্ধে রাজ্যের সর্বত্র বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে।