Breaking News

করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ কমিটি গঠন

বিজেপি পরিচালিত আসাম সরকার উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক মনোভাব নিয়ে করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর তীব্র বিরোধিতায় নেমেছেন করিমগঞ্জের নাগরিকরা। ১২ ফেব্রুয়ারি করিমগঞ্জের বিপিন চন্দ্র পাল স্মৃতি ভবনে নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।

তিন শতাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সুনীত রঞ্জন দত্ত, নির্মল কুমার সরকার, হিফজুর রহমান, সুদীপ্তা দে চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত সভাপতিমণ্ডলী কনভেনশন পরিচালনা করেন। বক্তব্য রাখেন আইনজীবী অরুণাংশু ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট সমাজকর্মী নির্মল কুমার দাস, সাহিত্যিক বরুণ কুমার সিনহা, নাগরিক রজত চক্রবর্তী, আইনজীবী সুব্রত পাল, সমাজকর্মী ডাঃ এম শান্তি কুমার সিংহ, মৌলানা আবুল হুসেন, তুষার পুরকায়স্থ, প্রোজ্জ্বল দেব প্রমুখ।

তাঁরা ক্ষোভের সাথে বলেন, এনআরসি রূপায়ণের নামে সরকার ১৯ লক্ষ নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নিয়েছে যার সিংহভাগই বরাক উপত্যকার। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির চাকরির ক্ষেত্রে বরাক উপত্যকার বেকার যুবক-যুবতীদের বঞ্চনা, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ বিভিন্ন পরিষেবা ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরম অবহেলা এবং বরাক উপত্যকার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র বিলোপ করা ইত্যাদি ঘটনা প্রমাণ করে বরাক উপত্যকার প্রতি আসাম সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি চরম উগ্র প্রাদেশিকতাকতাবাদী ও সাম্প্রদায়িক।

কনভেনশন থেকে করিমগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন প্রতিরোধ নাগরিক কমিটি গঠিত হয়। তার পাঁচ আহ্বায়ক যথাক্রমে সুনীত রঞ্জন দত্ত, অরুণাংশু ভট্টাচার্য, রজত চক্রবর্তী, বদরুল হক চৌধুরী ও সুদীপ্তা দে চৌধুরী কমিটির পক্ষ থেকে জনসাধারণকে জেলার নতুন নাম বর্জনের আহ্বান জানান। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জেলার সর্বত্র শহিদ বেদি স্থাপন ও শপথ গ্রহণ ছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট স্মারকপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

জেলার সর্বত্র প্রচারপত্র বিলি, পোস্টারিং ও ওয়ালিং, পথসভা ছাড়াও বিভিন্ন অঞ্চলে সংগ্রাম কমিটি গঠন, বরাক উপত্যকার বিধায়ক ও সাংসদের কাছে স্মারকপত্র দিয়ে তাঁদেরও এই আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো সহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে জনসভার সিদ্ধান্ত হয়েছে।