দক্ষিণ ২৪ পরগণার কঙ্কনদিঘি এলাকায় দলের প্রবীণ সদস্য, প্রাক্তন লোকাল সম্পাদক কমরেড সুবল সরদার ১৭ মে রাতে নিজ বাসভবনে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তিনি বহু বছর রোগাক্রান্ত হয়ে প্রায় শয্যাশায়ী ছিলেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় সংগঠন গড়ে তোলার প্রথম দিকে অত্যন্ত কঠিন সময়ে কঙ্কনদিঘি অঞ্চলে যাঁরা দল প্রতিষ্ঠার জন্য কষ্টসাধ্য ও বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে প্রয়াত কমরেড সুবল সরদার ছিলেন অন্যতম। সে সময় জোতদারদের বঞ্চনা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দলের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে তাঁরা ওই অঞ্চলে দলের জমি তৈরি করেন। প্রয়াত পলিটবুরো সদস্য কমরেড শচীন ব্যানার্জী, সুবোধ ব্যানার্জী প্রমুখের সাহচর্যে তিনি উন্নত চরিত্র অর্জনে প্রয়াসী ছিলেন। কঙ্কনদিঘি দ্বীপের হতদরিদ্র, শিক্ষাবঞ্চিত আদিবাসী এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকে আদর্শে উদ্বুদ্ধ করার কঠিন কাজটি করার পথে প্রয়াত নেতা কমরেড ইয়াকুব পৈলান রেণুপদ হালদারদের তত্ত্বাবধানে দলকে শক্তিশালী জনভিত্তিতে প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হন। তাঁর সততা, সরলতা, দরদি মন, আদর্শনিষ্ঠা, উন্নত রুচি-সংস্কৃতি জনগণকে আকৃষ্ট করত। এই পথে তিনি জননেতায় পর্যবসিত হন। তিনি এলাকার ও আশেপাশের বহু জায়গায় চাষি-মজুরের দাবি আদায়ে বলিষ্ঠ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। একের পর এক দাবি আদায় হয়। শারীরিকভাবে যতদিন সক্ষম ছিলেন পার্টির প্রতিটি আন্দোলন, কর্মসূচি, রাজনৈতিক ক্লাস, শিক্ষাশিবির সফল করার জন্য অনুপ্রেরণাময় ভূমিকা নিতেন। তিনি বইপত্র পড়া, রাজনৈতিক চর্চাতেও আগ্রহী ছিলেন। পরিবারের দারিদ্র তাঁর রাজনৈতিক কাজে বাধা হয়ে উঠতে পারেনি।
প্রয়াত কমরেডের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে দলের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড গুণসিন্ধু হালদার, বিশ্বনাথ সরদার, রেণুপদ হালদার, উত্তম হালদার তাঁর বাড়িতে যান। দলের পলিটবুরো সদস্য ও জেলা সম্পাদক কমরেড দেবপ্রসাদ সরকার এবং রাজ্য সম্পাদক কমরেড চণ্ডীদাস ভট্টাচার্যের পক্ষে, স্থানীয় দলের ও গণসংগঠনের বিভিন্ন কমিটির পক্ষে মাল্যদান করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
কমরেড সুবল সরদার লাল সেলাম