এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)–এর
পলিটবুরো সদস্য, প্রবীণ জননেতা
এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট)–এর পলিটবুরোর বিশিষ্ট সদস্য কমরেড সি কে লুকোসের প্রয়াণে গভীর শোকজ্ঞাপন করে দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড প্রভাস ঘোষ ১৩ ফেব্রুয়ারি এক শোকবার্তায় বলেন,
দলের পলিটবুরো সদস্য কমরেড সি কে লুকোস ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিরুবনন্তপুরমের হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন৷ তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যু শুধু বেদনাদায়কই নয়, আমাদের কাছে এক গুরুতর আঘাত৷ এই বিপ্লবী নেতার প্রয়াণে কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর শোক প্রকাশ করছে৷
১৯৬০–এর দশকে বিশিষ্ট মার্কসবাদী চিন্তানায়ক কমরেড শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার সংস্পর্শে এসে কমরেড সি কে লুকোস কেরালায় দল গড়ে তোলার কাজে পরিপূর্ণ ভাবে আত্মনিয়োগ করেন৷ দল গড়ার এই সংগ্রামে একদিকে তিনি যেমন কঠিন পরিশ্রম করেছেন, পাশাপাশি নিজের জীবনকে শ্রেণি, দল ও বিপ্লবের সাথে একাত্ম করার জন্য আদর্শগত সংগ্রামও চালিয়েছেন৷ সমগ্র কেরালা জুড়ে দারিদ্রপীড়িত জনগণ ও শ্রমিক শ্রেণির অসংখ্য আন্দোলন তিনি গড়ে তুলেছেন এবং পরিচালনা করেছেন, যার মধ্য দিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের প্রিয় নেতায় পরিণত হন৷ ১৯৮৮ সালে কেরালায় দলের প্রথম রাজ্য সম্মেলনে তিনি রাজ্য সম্পাদক নির্বাচিত হন৷ ২০০৯ সালে দ্বিতীয় পার্টি কংগ্রেসে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন৷ ২০১৮ সালের তৃতীয় পার্টি কংগ্রেসে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও পরবর্তীতে পলিটবুরো সদস্য হিসাবে তিনি নির্বাচিত হন৷
কমরেড সি কে লুকোসের বিপ্লবী চরিত্রের গুণাবলি এবং দল ও জনগণের স্বার্থে তাঁর অবদানকে কেন্দ্রীয় কমিটি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে৷ এমনকী যে সময় পারকিনসন রোগ তাঁর চলৎশক্তি এবং কথা বলার ক্ষমতাকেও ক্রমাগত কেড়ে নিচ্ছিল, তখনও তাঁর চিন্তার শক্তি ও মানসিক বল অটুট ছিল, যার জোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বিপ্লবী আদর্শের উচ্চমান, কমিউনিস্ট নীতি–নৈতিকতা–সংস্কৃতির স্বাক্ষর রেখে গেছেন৷
তাঁর প্রয়াণে শুধু কেরালা নয়, ক্ষতি হল সমগ্র দেশের শোষিত মানুষের৷ তাঁর অবিস্মরণীয় বিপ্লবী সংগ্রাম এবং নিষ্ঠা সারা দেশ জুড়ে বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলার কাজে অংশগ্রহণকারী সকলের কাছে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে৷
কমরেড সি কে লুকোস লাল সেলাম