Breaking News

কমরেড বাবলু পালের জীবনাবসান

কলকাতা জেলায় দলের বড়িশা লোকালের কর্মী কমরেড বাবলু পাল কোভিডে আক্রান্ত হয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে ১০ মে গভীর রাতে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।

কমরেড বাবলু পাল যৌবনে ‘বড়িশা সংস্কৃতি পরিষদ’ এর কর্মকান্ডে আকৃষ্ট হন। জনসাধারণের প্রতি গভীর মমত্ববোধ থেকে নানা সামাজিক কাজকর্মে তিনি নিযুক্ত হয়েছিলেন। পরবর্তীকালে ওই অঞ্চলে দলের তৎকালীন জেলা সম্পাদক কমরেড আশুতোষ ব্যানার্জীর রাজনৈতিক ক্লাসের আলোচনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দলের সংস্পর্শে আসেন। এরপর থেকে তিনি বহু দায়িত্ব পালন করে গেছেন। প্রথমে যুব সংগঠন ডিওয়াইও-র সাথে যুক্ত ছিলেন, পরে ট্রেড ইউনিয়নের কাজ শুরু করেন। ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতাল ইউনিয়ন গড়ে তোলায় তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৮ সালে প্রথম পার্টি কংগ্রেসের সময় কমরেড পাল দলের সদস্য পদ পান।

১৯৯৪ সালে বড়িশা অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ-এর অধীনে বৃত্তি পরীক্ষা পরিচালন কমিটির কাজ শুরু করেন। এছাড়াও আমতলা, পৈলান, বিষুiরপুর অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষার় কাজ করছিলেন। ‘শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চ’-র কলকাতা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। এই অঞ্চলে মনীষী স্মরণের বিভিন্ন কমিটির কাজে তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকা ছিল। এই সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলির বিস্তার নিয়ে যেমন তিনি স্বপ্ন দেখতেন, তেমনি অন্যদের প্রভাবিত করতেও আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতেন।

কমরেড বাবলু পাল যে কোনও কাজই আন্তরিকভাবে করতেন। কাজ করতে গিয়ে কোনও ভুল হলে ছোটদের কাছ থেকেও কঠোর সমালোচনা হাসিমুখে নিতেন। নির্দ্বিধায় ছোটদের নেতৃত্বে কাজ করতেও তাঁর কোনও অসুবিধা হয়নি।

তাঁর মৃত্যুতে দল হারাল সদাহাস্যময় এক হৃদয়বান কর্মীকে।

কমরেড বাবলু পাল লাল সেলাম

গণদাবী ৭৩ বর্ষ ৩৪ সংখ্যা