২৮-২৯ মার্চ কেন করব না ধর্মঘট? দৈনিক ১০০ টাকা মজুরি দেয়। এই টাকায় সংসার চলে? ক্ষোভের সাথে জানালেন হাওড়ার ভূমি দপ্তরের ‘কর্মবন্ধু’ নামক একদল কর্মী। এই জেলায় ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের অধীন জেলা সহ আর আই দপ্তরে ওয়াটার ক্যারিয়ার সুইপারের কাজে নিযুক্ত ‘কর্মবন্ধুরা’ অফিসে গ্রুপ-ডি কর্মচারী না থাকায় অফিস খোলা, ঝাঁট দেওয়া, কাগজপত্র গুছিয়ে রাখা, নোটিশ বিলি, আর আই-এর তদন্তকাজে ও খাজনা আদায়ে সাহায্য করা, এক অফিস থেকে অন্য অফিসে চিঠি নিয়ে যাওয়া এবং দুয়ারে সরকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো করে থাকেন। দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এ কাজ করে এলেও বেতন মাত্র মাসিক ৩০০০ টাকা। ন্যায্য মজুরি তো দূরের কথা, বাঁচার মতো মজুরিটুকুও নেই। নেই শ্রমিক হিসাবে স্বীকৃতি। ১০ মার্চ হাওড়া বঙ্কিম সেতুর নিচে তারা জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করে ডিএলআরও-র কাছে দাবিপত্র দেন।
‘ওয়াটার ক্যারিয়ার অ্যান্ড সুইপার ইউনিয়নের’ (কর্মবন্ধু) পক্ষ থেকে অসিত মালিক, চঞ্চলা পাল, লক্ষীকান্ত সাধুখান ও নিখিল বেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি সমরেন্দ্র মাঝি ও অফিস সম্পাদক সুনির্মল দাস এবং শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি হাওড়া টাউন জেলা সম্পাদক জৈমিনি বর্মন। তাঁদের দাবি, নিয়মিত কর্মচারীর স্বীকৃতি, মহামান্য স্যাট আদেশ অনুযায়ী অন্যান্য জেলার মতো ১৯৯৯ সাল থেকে বকেয়া মেটানো, অন্যান্য জেলার মতো কর্মচারীদের পুজোর বোনাস দিতে হবে, মৃত বা অক্ষম কর্মচারীর পোষ্যকে ওই পদে নিয়োগ প্রভৃতি। উল্লেখ্য ওই দিন কর্মবন্ধুদের দাবি ছাড়াও দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে ২৮-২৯ মার্চ সর্বভারতীয় ধর্মঘটের দাবিগুলির সমর্থনেও সোচ্চার হন তাঁরা।