এসইউসিআই (সি)-র ওড়িশা রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত জানান, ৩ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে ওড়িশা জুড়ে শোক দিবস পালিত হয়। শোকবেদিতে মাল্যদান, কালো ব্যাজ পরিধান, নিহতদের স্মরণে দু’মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
তিনি জানান, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই কমরেড সদাশিব দাস, ছবি মহান্তি, প্রকাশ মল্লিক, কেদারনাথ সাহু সহ রাজ্য কমিটির ৬ জনের এক প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রতিনিধিরা বালাসোর হাসপাতালে গিয়ে আহতদের চিকিৎসার তদারকি করেন এবং বাহানাগা হাইস্কুল, যেখানে সারি সারি মৃতদেহ রাখা হয়েছে সেখানেও যান। তাঁরা ঘটনাস্থলে এবং স্কুল ও হাসপাতালে উপস্থিত স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার সরাসরি রিপোর্ট সংগ্রহ করেন এবং নিহত ও আহতদের পরিজনদের সমবেদনা জানান। গুরুতর আহত রোগীদের রাখা হয়েছে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, সেখানেও যান দলের প্রতিনিধিরা।
দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ১৫ লক্ষ টাকা এবং আহত ব্যক্তির পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহতদের বিনামূল্যে উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও উদ্ধার ও ত্রাণকার্য সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে আহত ও আটকে পড়া যাত্রীদের জল ও খাবারের ব্যবস্থা, তাদের গন্তব্যে পৌঁছনোর ব্যবস্থা এবং দ্রুত সমস্ত রুটে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি জানানো হয়।
ছাত্র সংগঠন এ আই ডি এস ও-র সদস্যরা ৩ জুন থেকে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চলেছেন। মেডিকেল ফ্রন্টের কমরেড গণেশ ত্রিপাঠি এবং ডাঃ সংগ্রাম ব্রহ্ম বালাসোর হাসপাতালে এবং ৪ জুন ভদ্রক হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে এবং চিকিৎসারত ডাক্তারদের সাথে কথা বলেন। তাঁরা আহতদের চিকিৎসার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেন, যার ভিত্তিতে আগামী কয়েক দিন চিকিৎসা পরিষেবা দেবে মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার। এই সংগঠন চিকিৎসা এবং সাহায্যের জন্য রিলিফ ফান্ড সংগ্রহের আবেদনও জানিয়েছে।
৫ জুন মহিলা সংগঠন এআইএমএসএস এবং এআইডিএসও-র প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল এবং নিকটবর্তী গ্রাম ও হাসপাতালে যান। ওই দিন একটি বড় মেডিকেল টিম নানা হাসপাতালে যায় ও আহতদের চিকিৎসা করে। তাঁরা জানান, হাসপাতালগুলিতে শোচনীয় পরিস্থিতি, চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশ নেই। দলের রাজ্য কমিটি ৪ জুন এক বিবৃতিতে, দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়িয়ে উদ্ধার ও ত্রাণকার্যে সাধারণ মানুষের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।