অবিলম্বে স্কুল স্তরে পাশ–ফেল চালুর দাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সরব হল অল বেঙ্গল সেভ এডুকেশন কমিটি৷ প্রবল জনমতের চাপে রাজ্য সরকার বাধ্য হয়েছে স্কুলশিক্ষায় পাশ–ফেল চালুর দাবি মেনে নিতে৷ কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে লাগাতার টালবাহানা করে চলেছে৷
ওই দিন কলকাতার হাজরা মোড়ের অবস্থান–সভায় (ছবি) কমিটির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কার্তিক সাহা বলেন, পাশ–ফেল চালু করার প্রশ্নে রাজ্য সরকারের গড়িমসি প্রতি বছর সাধারণ ঘরের লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস করে দিচ্ছে৷ সরকার অবিলম্বে এ–শিক্ষাবর্ষেই যদি প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল চালু না করে তা হলে আমরা আরও বড় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব৷ সভায় উপস্থিত ছিলেন কমিটির রাজ্য সভাপতি অধ্যাপক ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায়৷
কলকাতা জেলা সম্পাদক স্বপন চক্রবর্তী ও সভাপতি অধ্যাপক তরুণ দাস সহ অবস্থান–সভায় বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক প্রদীপ দত্ত, আশিস বসু, শম্পা সরকার, কুহু ভট্টাচার্য, অমিয় জানা, আনন্দ বসু, চণ্ডী ব্যানার্জি, গৌর পথিক প্রমুখ শিক্ষা আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ৷ সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক নেতা শুভঙ্কর ব্যানার্জি৷ সকলেই দাবি করেন, এ বছরেই চালু হোক প্রথম শ্রেণি থেকে পাশ–ফেল৷
২২ ফেব্রুয়ারি হালিশহর ও হাবড়ায় দুটি পৃথক প্রচার সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ হালিশহরের সভায় বক্তব্য রাখেন দেবাশিস ব্যানার্জী, কালীপদ দেবনাথ, অধ্যাপক অশোক ভট্টাচার্য প্রমুখ এবং হাবড়ার সভায় বক্তব্য রাখেন তুষার ঘোষ, পতিতপাবন মণ্ডল প্রমুখ৷ একই দাবিতে ওই দিন পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে পদযাত্রা (ছবি) ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরে অবস্থান অনুষ্ঠিত হয়৷