এই সময়টা গম, ভুট্টা, আলু, সর্ষে, সব্জি চাষের মরশুম। এই সব চাষে প্রয়োজন প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক সার। বাড়তি চাহিদার সুযোগে উত্তর দিনাজপুরে সার ব্যবসায়ীরা অবাধে কালোবাজারি চালাচ্ছে, আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চড়া দামে সার বিক্রি করছে। সরকার দেখেও দেখে না। কর্মী কম থাকার অজুহাতে কৃষি আধিকারিকরা প্রয়োজনীয় নজরদারিটুকুও করছেন না। কৃষকরা সারের দোকানে এমআরপি দামে সার চাইলে তাদের অন্য জায়গায় যেতে বলা হচ্ছে। মারধরের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে।
এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় কৃষকরা গ্রামে গ্রামে আন্দোলনের কমিটি গড়ে তুলে সংগঠিত হতে শুরু করেছেন। এআইকেকেএমএস-এর নেতৃত্বে সারের কালোবাজারি বন্ধে ডিডিএ, এডিএ-র কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। তাতেও কাজ না হওয়ায় ২৪ নভেম্বর রায়গঞ্জ মহারাজা মোড়ে তাঁরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। ৬ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর জেলা, মহকুমা ও ব্লক কৃষি আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে এমআরপি দামে সার দেওয়ার ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দেন। তাঁরা মাইকে ঘোষণা করেন, কয়েকজন অসাধু সার ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হয়েছে এবং কয়েকজনকে শো-কজ করা হয়েছে। এরপর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রির নিয়ম সহজ-সরল করা এবং ধলতা নেওয়া বন্ধের দাবিতে খাদ্য দপ্তরে ডেপুটেশন দেওয়া হয়। পরদিন থেকেই কৃষকরা এমআরপি দামে সার পেতে থাকেন। কোনও দোকানদার ওই দামে সার দিতে অস্বীকার করলে সেখানে এআইকেকেএমএস-এর ব্যানার নিয়ে গ্রাম কমিটি উপস্থিত হলেই তারা এমআরপি-তে সার দিয়ে দিচ্ছে।
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন রায়গঞ্জ আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক রুবিনা চৌধুরী, সংগঠনের জেলা সভাপতি নবীন সিংহ, জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ দেবনাথ এবং সংগঠনের জেলা সম্পাদক দয়াল সিংহ।