এনআরসি–র নামে নাগরিকত্ব হরণের চক্রান্তের বিরুদ্ধে ৪ নভেম্বর মৌলালি যুব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হল নাগরিক কনভেনশন৷ বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিমল চ্যাটার্জী, প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মানবাধিকার আন্দোলনের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব সুজাত ভদ্র প্রমুখ৷ বিমলবাবু বলেন, ‘নাগরিক পঞ্জি তৈরি করার প্রক্রিয়া ভ্রান্ত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ধর্মীয় গন্ধযুক্ত৷ আমাদের আন্দোলন এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে৷ নাগরিক আইনে যে সংশোধনী আনছে তা নিন্দনীয়’৷ প্রতুলবাবু বলেন, ‘আসামে কোনও এনআরসি হয়নি, যা হয়েছে তা এনআরসি–র নামে আইনের বিকৃতি৷ এই এনআরসি মানি না৷ আমাকেই কেন প্রমাণ করতে হবে, আমি ভারতের নাগরিক’?
সুজাতবাবু বলেন, ‘আমরা নাৎসি ক্যাম্পের কথা জানি, ভারতবর্ষে সেই ক্যাম্প করা হচ্ছে৷ দেশভাগের জন্য সাধারণ মানুষ দায়ী নয়৷ কাউকে রাষ্ট্রহীন না করে স্বাভাবিকভাবে নাগরিকত্ব দিতে হবে’৷ এন আর সি আতঙ্কে আত্মহত্যাকারী বসিরহাটের কামাল হোসেন মণ্ডলের বিধবা স্ত্রী মঞ্চে এসে তাঁর পরিবারের দুর্দশার কথা বলেন৷ কনভেনশনে দাবি ওঠে ১) এনআরসি প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে, ২) অবিলম্বে আসামে অমানবিক ডিটেনশন ক্যাম্প বন্ধ করতে হবে, ৩) এনআরসি–র কারণে আসামে এবং এ রাজ্যে যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে৷
উপচে পড়া ভিড়ে ঠাসা কনভেনশন থেকে ‘সারা বাংলা এনআরসি বিরোধী নাগরিক কমিটি’ গঠিত হয়৷ সভাপতি নির্বাচিত হন বিমল চ্যাটার্জি, অন্যতম সহসভাপতি হয়েছেন সুজাত ভদ্র এবং সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন গোপাল বিশ্বাস৷ কনভেনশনে এই আন্দোলনকে দ্রুত জেলায় জেলায় ছডিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে৷