অনেকেই অপরাধীদের এনকাউন্টারে শাস্তি চান। বীভৎস নারকীয় ঘটনার সঠিক বিচার বা অতি দ্রুত বিচার না পাওয়ার কারণে এই প্রক্রিয়াকে তাঁরা হয়ত সমর্থন করেন। কিন্তু অনেক সময় প্রকৃত দোষীকে আড়াল করতে নিরীহদের ধরেই হত্যা করে জনরোষকে চাপা দেওয়া এবং সস্তা বাহবা পাওয়ার জন্য এই কৌশল অবলম্বন করা হয়। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা বহু ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ।
সবক্ষেত্রেই যদি সন্দেহের বশে গ্রেপ্তারের সাথে সাথে এনকাউন্টারের দাবি তোলা হয়, তা হলে তার পরিণতি ভয়ঙ্কর হতে পারে। যা বুমেরাং হয়ে দেখা দিতে পারে আপনার আমার জীবনেও। কোনও প্রতিবাদী চরিত্রকে এভাবে ফাঁসিয়ে দিয়ে এনকাউন্টার করলে বহু মানুষ প্রকৃত সত্য না জেনে হয়তো হাততালি দেবে কিন্তু আসল সত্যটি অন্তরালেই চাপা পড়ে যাবে। আবার অকাট্য প্রমাণ থাকা সত্তে্বও ধর্ষক সহ বেশ কিছু অপরাধী আজও জামিনে মুক্ত। আমাদের দাবি তোলা উচিত বিলম্বিত বিচার প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। কেন তথ্য প্রমাণ থাকা সত্তে্বও অতি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে না? উপযুক্ত তদন্ত এবং অতি দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হতে হবে সবাইকে।
কিংকর অধিকারী, পশ্চিম মেদিনীপুর