ইয়াস বিধ্বস্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দ্বাদশ শ্রেণির ভর্তির ফি–বালিঘাই ফকিরদাস হাইস্কুলে ১০৮০ টাকা, চকদ্বীপা হাই স্কুলে ৬০০ টাকা, রাজরামচক শিক্ষা নিকেতন ৬০০ টাকা।
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন কলেজের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ষষ্ঠ সেমিস্টারের এনরোলমেন্ট ফি–বি এ অনার্স (নন ল্যাব) ৬৫০ টাকা, বি এ অনার্স (ল্যাব) ৬৮০ টাকা বি-কম অনার্স ৭১০ টাকা, রসায়ন ১০৭০ টাকা, বটানি ১০২০ টাকা, পরিবেশ বিজ্ঞান ১০২০ টাকা। এমনকি কলকাতার বেশ কিছু স্কুলে ফি কোথাও ১০০০ টাকা, কোথাও কোথাও ২০০০ টাকা ভর্তি ফি আদায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে এআইডিএসও। জেলায় জেলায় ঘেরাও-ডেপুটেশন-বিক্ষোভ কর্মসূচি সংগঠিত করেছে। ইয়াস বিপর্যস্ত উপকূলীয় অঞ্চলে বহু ছাত্র কমিটি গড়ে উঠেছে। লকডাউনের মধ্যে এই ছাত্র কমিটিগুলি দুর্বার ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলে। শুধু ফি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে নয়, ছাত্রছাত্রীদের স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে গড়ে ওঠা আন্দোলনের জয়ও প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছাত্র আন্দোলনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে ছাত্রছাত্রীদের ফি মকুব করতে বাধ্য হন।
কোচবিহার জেলায় একাধিক স্কুলে বর্ধিত ফি প্রত্যাহার করে কর্তৃপক্ষ। আন্দোলনের চাপে দার্জিলিংয়ে ডিআই ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির ফি মকুবের নির্দেশিকা প্রকাশ করেন। কলকাতায় জেলা স্কুল পরিদর্শক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলি ২৪০ টাকার বেশি ভর্তি ফি নিতে পারবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা, পরিবহণে ছাত্রছাত্রীদের কনসেশন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্ত রকমের ফি মকুবের দাবিতে ২৬ জুলাই রাজ্যব্যাপী প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়।