দেশ স্বাধীন হলেও দেশের গরিব শ্রমজীবী মানুষের আকাঙ্খিত সর্বাঙ্গীন মুক্তি আসেনি, বরং দেশের সরকার শিক্ষা সহ নানা ক্ষেত্রে একের পর এক কালা আইন প্রয়োগ করে চলছে। ২৮ ডিসেম্বর এআইডিএসও-র ৬৮তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এ কথা বলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এ দিন কলকাতায় এআইডিএসও-র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষ পতাকা উত্তোলন করেন। উপস্থিত ছিলেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ডাঃ মৃদুল সরকার, রাজ্য সম্পাদক মণিশঙ্কর পট্টনায়ক সহ রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
ডাঃ আর আহমেদ মেডিকেল কলেজ, যোগমায়া দেবী কলেজ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ছাত্র সভা হয়। শিক্ষাক্ষেত্রে সমস্ত ধরনের ফি সম্পূর্ণ মকুব, গণপরিবহণে ছাত্রছাত্রীদের এক-তৃতীয়াংশ কনসেশন, মোবাইল রিচার্জ মাশুল কমানো এবং জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ বাতিলের দাবিতে এআইডিএসও কর্মীরা প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সোচ্চার হন। বিকেলে আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে সংগঠনের কলকাতা জেলা কমিটির উদ্যোগে ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সম্পাদক সৌরভ ঘোষ বলেন, আমরা দায়িত্বশীল ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র পক্ষ থেকে দেশের শিক্ষা ও ছাত্র সমাজের স্বার্থে সর্বজনীন, বিজ্ঞানমনস্ক, ধর্ম নিরপেক্ষ শিক্ষার দাবিতে বারবার লড়াই আন্দোলন গড়ে তুলেছি। বর্তমানে শিক্ষার মর্মবস্তু ধ্বংসকারী ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ও অবৈজ্ঞানিক জাতীয় শিক্ষানীতি-২০২০ প্রয়োগের মাধ্যমে ‘টাকা যার শিক্ষা তার’ নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছে। এরই বিরুদ্ধে দেশের ছাত্র সমাজের কাছে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের জয় থেকে যথাযথ শিক্ষা নিয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি বাতিলের দাবিতে দুর্বার ছাত্র আন্দোলনে সামিল হোন।