জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাতিল, শিক্ষায় পিপিপি মডেল প্রত্যাহার, সমস্ত শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ ও ক্লাসরুম ভিত্তিক পঠনপাঠনের দাবি তুললেন পাঁচ শতাধিক ছাত্রপ্রতিনিধি। ১০ সেপ্টেম্বর কলকাতার আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে এআইডিএসও-র কলকাতা জেলা চতুর্দশ ছাত্র সম্মেলনে শিক্ষার এই গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলি নিয়ে ছাত্র আন্দোলনের শপথ উচ্চারিত হল আবার। সংগঠনের রক্তপতাকা উত্তোলন করেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্পাদক কমরেড মণিশঙ্কর পট্টনায়ক। শহিদ বেদিতে মাল্যদানের পর কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কমরেড শুভঙ্কর চ্যাটার্জী উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন।
মূল খসড়া প্রস্তাবের উপর বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন। শিক্ষায় অবৈজ্ঞানিক চিন্তা ও ধর্মীয় গোঁড়ামি প্রসারের চক্রান্তের বিরুদ্ধে, মেডিকেল শিক্ষার ওপর আক্রমণের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ছাত্রী ও নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়। সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন বিদায়ী জেলা সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা মধ্যপ্রদেশ রাজ্য সভাপতি কমরেড অজিত পানোয়ার, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি কমরেড সামসুল আলম, রাজ্য সম্পাদক কমরেড মনিশঙ্কর পট্টনায়ক। নতুন জেলা কমিটি ও জেলা কাউন্সিলের নাম প্রস্তাব করেন বিদায়ী জেলা সম্পাদক কমরেড আবু সাঈদ। বিদায়ী জেলা সভাপতি কমরেড সুমন দাসের নেতৃত্বে সভা পরিচালনা করে একটি সভাপতিমণ্ডলী। কমরেড পিন্টু দাসকে সভাপতি, কমরেড মিজানুর রহমানকে সম্পাদক নির্বাচিত করে ২৩ জনের সম্পাদকমণ্ডলী সহ ৬৯ জনের জেলা কমিটি ও ৯৫ জনের জেলা কাউন্সিল নির্বাচিত হয়। শেষে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি সংগঠনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা এস ইউ সি আই (কমিউনিস্ট) এর কলকাতা জেলা সম্পাদক কমরেড সুব্রত গৌড়ী। সর্বহারা মহান নেতা কমরেড শিবদাস ঘোষের উপর রচিত সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে সম্মেলনের কাজ সমাপ্ত হয়।