২০ জানুয়ারি জাতীয় হকার দিবসে অল বেঙ্গল হকার্স ইউনিয়নের উদ্যোগে গঠিত অল বেঙ্গল হকার্স ইউনিয়ন সমন্বয় কমিটির ডাকে কলকাতা রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের জমায়েত থেকে রাজ্যপাল, রাজ্যের ভারপ্রাপ্ত নগরউন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং ইস্টার্ন রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়৷ সমাবেশের জন্য প্রয়োজনীয় দরখাস্ত জমা দেবার পরও শেষ মুহুর্তে পুলিশ জানায় যে রানি রাসমণিতে তারা কোনও জায়গা দিতে পারবে না৷ এমনকি কলকাতা কর্পোরেশন বা বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের সামনে, মৌলালি, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার বা বি বি গাঙ্গুলী স্ট্রিটের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মোড় কোথাও জমায়েত করার অনুমতি দেয়নি৷ সমন্বয় কমিটির পক্ষে আহ্বায়ক কমরেড শান্তি ঘোষ এর তীব্র প্রতিবাদ করে ধিক্কার জানান৷ তিনি দাবি করেন অবিলম্বে রাজ্যে হকারবিধি প্রণয়নে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ ৪০ শতাংশ হকার ইউনিয়ন প্রতিনিধিদের নিয়ে টাউন ভেন্ডিং কমিটি গঠন করে হকারদের ভেন্ডিং লাইসেন্স দিতে হবে৷ হকার উচ্ছেদ বন্ধ করতে হবে৷ হকার পরিবারের সন্তান–সন্ততির শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে৷ কেন্দ্রীয় সরকার হকার আইন ২০১৪ প্রণয়ন করলেও যেভাবে রেল এলাকাকে হকার আইনের বাইরে রেখে রেল পরিষেবায় আরসিটিসি–র মতো বৃহৎ পুঁজির প্রবেশের পথ করে দিয়েছিল, তার তীব্র প্রতিবাদ করে রেল হকারদের হকার আইনের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তিনি৷