২৪ জুলাই পাঁশকুড়ার কনকপুর সিধু-কানুর মূর্তির পাদদেশে মেদিনীপুর ক্যানেলের দুই পাশে বসবাসকারী বস্তিবাসীদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে মহিলা সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতিত্ব করেন সুশান্ত পাল। কনভেনশন মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন গণআন্দোলনের নেতা মধুসূদন বেরা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাগরিক সমরেন্দ্রনাথ মাঝি, তপন জানা, জগদীশ শাসমল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ক্যানেল পাড়ে বসবাসকারী মানুষদের পুনর্বাসন না দিয়ে কাউকেই উচ্ছেদ করা যাবে না। উপস্থিত সবাই যে কোনও মূল্যে তা রুখবেন বলে অঙ্গীকার করেন। সভা থেকে তপন জানাকে সভাপতি এবং কার্তিক বর্মন ও জগদীশ শাসমলকে যুগ্ম সম্পাদক করে পঞ্চাশ জনের ‘বস্তি উন্নয়ন কমিটি’ গঠিত হয়।
সম্প্রতি সেচ দপ্তরের পক্ষ থেকে ওই ক্যানেলের দু’পাশের বাঁধের ধারে বসবাসকারী কয়েকশো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদের নোটিশ দিলে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয় বাসিন্দাদের মধ্যে। কনভেনশনের পর উপস্থিত জনতা পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদের প্রতিবাদে পাঁশকুড়া থানায় বিক্ষোভ দেখায় এবং আইসি-কে উপরোক্ত দাবিতে স্মারকলিপি দেন। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কার্তিক বর্মন ও জগদীশ শাসমল বলেন, বস্তিবাসীরা সকলেই দেশের নাগরিক, তাই তাদের পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যায় না। পুনর্বাসন না দিয়ে জোর করে উচ্ছেদ করা হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।