২০২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সেমেস্টার চালুর ঘোষণা করেছে সরকার। এর তীব্র বিরোধিতা করে এআইডিএসও-র রাজ্য সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় ৯ মার্চ বলেন, নয়া জাতীয় শিক্ষানীতিকে এ রাজ্যে নানা ভাবে রূপায়ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের শিক্ষানীতি আসলে কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতির ফটোকপি। জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসরণে উচ্চমাধ্যমিকের বোর্ড পরীক্ষা তুলে দেওয়ার দিকে যাচ্ছে রাজ্য সরকার।
তিনি বলেন, রাজ্যে ইতিমধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে সেমেস্টার চালুর ফলে উচ্চশিক্ষায় সুসংহত জ্ঞানচর্চার পরিমণ্ডল খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেমেস্টার সিস্টেমে ক্লাসের সময় কমে আসছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সিলেবাস শেষ হচ্ছে না, সঠিক সময়ে পরীক্ষার ফল প্রকাশ হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে উচ্চশিক্ষার পরিমণ্ডল ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্কুল শিক্ষায় সেমেস্টার চালু হলে স্কুল শিক্ষাব্যবস্থাও বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
বর্তমানে স্কুলগুলোতে শিক্ষকের অভাব, পরিকাঠামোর অভাব, লাইব্রেরির অভাব, ল্যাবরেটরির অভাব ব্যাপক আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় উচ্চমাধ্যমিক স্তরে সেমেস্টার চালু হলে শিক্ষার অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে। আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে ধারাবাহিকভাবে গড়ে তুলতে পশ্চিমবাংলার ছাত্র সমাজ, শিক্ষক অভিভাবক সমাজ সহ শিক্ষাব্রতী মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। এর প্রতিবাদে সমস্ত জেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করে এআইডিএসও।