উত্তর দিনাজপুর়ে ইসলামপুর শহর সংলগ্ন অলিগঞ্জের ১৫ নং রেশন ডিলার দীর্ঘদিন ধরেই রেশনসামগ্রী নিয়ে দুর্নীতি চালাচ্ছিলেন। গ্রাহকদের প্রাপ্য পরিমাণের অর্ধেকটা দেওয়া, লকডাউনের সময় সরকারের দেওয়া অতিরিক্ত খাদ্যসামগ্রী পুরোটাই আত্মসাৎ করা ইত্যাদি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। গ্রাহকরা বার বার ক্ষোভ প্রকাশ করলেও এই ডিলার তাতে কর্ণপাত করেননি, উল্টে তাঁদের কার্ড ট্রান্সফারের হুমকি দিতেন। শেষপর্যন্ত রেশন গ্রাহকদের আন্দোলনের হাতিয়ার সংগ্রামী গণমঞ্চের অলিগঞ্জ শাখা গঠন করেন গ্রাহকরা। সংগঠনের উদ্যোগে হুমকি উপেক্ষা করে ১০ নভেম্বর সহস্রাধিক রেশন গ্রাহক ওই ডিলারকে চার ঘণ্টা ধরে ঘেরাও করে রাখেন।xxxx
আন্দোলনের চাপে ডিলার লিখিতভাবে নিজের অন্যায় স্বীকার করেন এবং জানান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক বছর ধরে প্রতি মাসে মাথাপিছু ৫ কিলো অতিরিক্ত চাল দেবেন। এরপর থেকে প্রতি মাসে সরকার নির্ধারিত পরিমাণেই রেশন সামগ্রীও দেবেন।
সংগঠিত আন্দোলনের এই জয়ে এলাকার মানুষ উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন এবং এতদিন ধরে নির্বাক দর্শকের ভূমিকায় থাকা খাদ্যদপ্তর হঠাৎ জেগে উঠে ওই ডিলারকে সাসপেন্ড করে ৫-৬ কিমি দূরে ট্যাগ করেন। কিন্তু এতে গ্রাহকদের হয়রানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিপূরণ থেকেও তারা বঞ্চিত হবেন। তাই অলিগঞ্জের গ্রাহকরা গ্রামেই দ্বিতীয় কাউন্টার চালু এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন সুজনকৃষ্ণ পাল, শাহিদ আলম, ইমতিয়াজ আলম, রফিক মহম্মদ প্রমুখ।