এ দেশে কৃষক আন্দোলনের কাছে যেদিন মাথা নোয়াতে বাধ্য হল অগণতান্ত্রিক বিজেপি সরকার, সেই ঐতিহাসিক দিন ১৯ নভেম্বরই ইরানের ইস্পাহান প্রদেশের হাজার হাজার কৃষক আন্দোলনে সামিল হলেন শুকিয়ে যাওয়া নদী জায়নদ রুদের বুকে দাঁড়িয়েই। সরকারের কাছে দাবি জানালেন নদীতে অবিলম্বে জল ফিরিয়ে দিতে হবে। আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ।
জায়নদ রুদ নদী ইরানের বৃহত্তম ও স্রোতস্বিনী নদী ছিল। কৃষকদের চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জলের জোগান দিত এই নদী, গত কয়েক বছরে তাতে এক ফোঁটা জল নেই। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য জলসংকট তীব্র। নাব্যতা বাড়ানোর জন্য সরকারি পরিকল্পনার একান্ত অভাব আর বারবার গতিপথ পরিবর্তনই নদী শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। এমনিতেই ইরান খরাপ্রবণ। তার মধ্যে ইস্পাহান সহ বেশ কয়েকটি প্রদেশ এ বছর ভয়ঙ্কর খরার কবলে পড়েছে। ৯৭ শতাংশ এলাকা খরাক্লিষ্ট। হাজার হাজার কৃষকের জীবন-জীবিকা বিপন্ন, স্থানীয় মানুষ প্রবল দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। আন্দোলনকারীরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে নদীতে জল আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮ নভেম্বর থেকে টানা আন্দোলন চলছে। আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করতে পূর্বতন সরকারের মতো এই সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সমস্যা মেটানোর। নয় দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তা খাতায়-কলমেই রয়ে গেছে। বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে আন্দোলনকারীদের কয়েক জন মারাও গেছেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়ায় ১৯ নভেম্বর মজে যাওয়া ওই নদীর বুকে আবারও বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার মানুষ। তাদের মুখে স্লোগান ছিল ‘ইস্পাহানকে শ্বাস নিতে দাও, জিয়ানদ রুদ নদী ফিরিয়ে দাও।’