আসামে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে৷ ব্রহ্মপুত্র এবং বরাক উপত্যকায় প্রলয়ঙ্করী বন্যায় ইতিমধ্যে শিশুসহ ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷ ৫০ লক্ষাধিক মানুষ সাংঘাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত৷প্রতিদিন নতুন নতুন অঞ্চল জলমগ্ণ হচ্ছে৷ নদী ভাঙন এক বিভীষিকার পর্যায়ে পৌঁছেছে৷ লক্ষ লক্ষ মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন৷ পানীয় জলের অভাবে মানুষ প্রচণ্ড দুর্ভোগে৷ রাজধানী গুয়াহাটির বিভিন্ন এলাকায় ভূমিধসে কয়েক জনের মৃত্যু হয়েছে৷ পুরোপুরি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রেল ও সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা৷
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এস ইউ সি আই (সি) আসাম রাজ্য কমিটির সম্পাদক কমরেড চন্দ্রলেখা দাস ১৭ জুলাই এক বিবৃতিতে বলেন, এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলা করা, বানভাসি মানুষদের উদ্ধার ও আশ্রয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে যুদ্ধকালীন তৎপরতা প্রয়োজন ছিল তা দেখা যায়নি৷ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা তহবিলকেও ঠিকমতো ব্যবহার করে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়নি৷
নির্বাচনের সময় বিজেপি আসামের বন্যা এবং নদীভাঙনের সমস্যা সমাধানের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা যে একেবারেই ফাঁপা সে কথা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে৷ এই পরিস্থিতিতে কমরেড চন্দ্রলেখা দাস দাবি করেন, বন্যাকবলিত মানুষকে দ্রুত উদ্ধার ও তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে৷ খাদ্যসামগ্রী, পানীয় জল, শিশু খাদ্য সরবরাহ করতে হবে৷ তিনি দাবি জানান, বন্যাকবলিত এলাকায় ব্লিচিং পাউডার এবং জীবানুনাশক ছড়িয়ে মহামারী রোধে ব্যবস্থা নিতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে৷ গবাদি পশুগুলিকে রক্ষার ব্যবস্থা ও ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি৷ ত্রাণের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা ও তা তদারকির জন্য সর্বদলীয় কমিটি গঠন করার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানান৷