২৩ সেপ্টেম্বর আসামের দরং জেলার গরুখুঁটিতে আসাম সরকারের পুলিশ যেভাবে বর্বর হত্যাকাণ্ড এবং উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা করে ওই রাজ্যের আটটি নাগরিক সংগঠন, কৃষক সংগঠন এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, অসহায় পরিবারগুলির সামান্য সম্বলটুকু সরকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের আইন, সুপ্রিম কোর্টের রায় এমনকি রাষ্ট্রসংঘও উচ্ছেদ করতে হলে পুনর্বাসনের যে কথা বলেছে সরকার তার কোনও তোয়াক্কাই করেনি। মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু আসাম সরকারের বড় বড় অফিসাররা যেভাবে গোটা বিষয়টিতে সাম্প্রদায়িক রং চাপাতে চাইছেন তার তীব্র নিন্দা করেছে সংগঠনগুলি।
সংগঠনগুলি বলেছে, বিজেপি সরকারের অভিসন্ধি ছিল আসামে উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী এবং সাম্প্রদায়িক জিগির তুলে ক্ষমতা ধরে রাখা। তাই তারা এনআরসিতে অধিকাংশ বাংলাভাষী মানুষ বিশেষত মুসলিমদের নাম বাদ দিতে চেয়েছিল। কিন্তু সে অভিসন্ধি পুরোপুরি সফল না হওয়ায় বিজেপি এই মানুষগুলিকে জবরদখলকারী হিসাবে দেখিয়ে অসামের সমস্ত বাংলাভাষী মুসলিমদের বিরুদ্ধে নতুন করে বিদ্বেষের জিগির তুলতে চাইছে। অথচ এঁরা সকলেই ভারতীয় নাগরিক এবং কমপক্ষে ৫০ বছর ওই জমিতে বাস করছেন, চাষাবাদ করছেন।
সংগঠনগুলি বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী উচ্ছেদ অভিযানের বর্বরতাকে সমর্থন জানিয়েছেন। ওই ঘটনায় পুলিশের নেতৃত্বে থাকা এসপি যিনি মুখ্যমন্ত্রীর ভাই, তিনি এই উচ্চপদের অপব্যবহার করে বিজেপির রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা চরিতার্থ করতে সচেষ্ট হয়েছেন। এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে নাগরিক সংগঠনগুলি দাবি তুলেছে, মুখ্যমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে। দরং জেলার ডিএম ও এসপিকে সাসপেন্ড করে হাইকোর্টের কোনও কর্মরত বিচারপতিকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। উপস্থিত সমস্ত পুলিশ কর্মচারীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে হবে। বিজয় বানিয়া নামে যে ফটোগ্রাফার পুলিশের সাথে মিলে বর্বর আচরণ করেছে তার কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।