বন্যাপ্লাবিত আসামের দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়াতে ১৪ জুন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের ১৭ সদস্যের চিকিৎসক ও মেডিকেল ছাত্রদের একটি দল ডাঃ সামস মুশাফিরের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ থেকে আসামের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
সেখানে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সংগঠনের আসাম রাজ্য কমিটির ইনচার্জ ডাঃ চিত্রলেখা দাস সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকরা। ইতিমধ্যে গুয়াহাটি সহ বিস্তীর্ণ এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়। পাহাড়ের ধস মারাত্মক বাড়তে থাকে। হাফলং-এর বিভিন্ন এলাকায় যে মেডিক্যাল ক্যাম্পগুলি হওয়ার কথা ছিল, প্রবল বর্ষণ, ধস ও ঝোড়ো বাতাসে সেগুলির বেশিরভাগ বাতিল করতে হয়। অতিবর্ষণের মধ্যেই দুটি দলে ভাগ হয়ে নগাঁও জেলার বন্যাবিধবস্ত এলাকা এবং ডিমা হাসাও জেলার পার্বত্য শহর হাফলং-কে কেন্দ্র করে ১৬-১৮ জুন মোট এগারোটি চিকিৎসা শিবির আয়োজন করা সম্ভব হয়। সেখানে এক হাজারের বেশি দুর্গত মানুষের চিকিৎসা করে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়।
এমনিতেই আসামে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো অত্যন্ত দুর্বল। বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিতে চিকিৎসা পরিষেবা আরও বেহাল দশায় পৌঁছেছে। রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার জনজীবনের অন্যতম প্রধান এই সমস্যার সমাধানে বিন্দুমাত্র আগ্রহী নয়। তারা ব্যস্ত ধর্ম-জাত-পাত-ভাষার বিভেদে উস্কানি দিয়ে এনআরসি-সিএএ-র তাস খেলে ভোটব্যাঙ্ক গোছাতে। কিন্তু চিকিৎসা শিবির করতে গিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, সমস্যা জর্জরিত সাধারণ মানুষ নিজেদের মধ্যে এই বিভেদ-বৈরিতা চান না। তাঁরা মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের বাংলাভাষী স্বেচ্ছাসেবকদের সাদরে গ্রহণ করেছেন। ধর্ম-ভাষা নির্বিশেষে এলাকার সমস্ত মানুষ মেডিকেল ক্যাম্পগুলির দিকে সাহায্যের অকুণ্ঠ হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।