আশাকর্মীদের সারা ভারত ধর্মঘট সফল

বীরভূম

১৫ মে এক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ ভারতে কোভিড রোখার বিশেষ দায়িত্ব আশাকর্মীদের ওপর অর্পণ করেন। ফলে প্রতিদিন ঘুরে ঘুরে কোভিড-আক্রান্তদের চিহ্নিত করা, পরীক্ষা করানো, দেখভাল করা, ওষুধ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মা-শিশুদের সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার দায়িত্বও পালন করে যেতে হচ্ছে আশাকর্মীদের। এবং অন্য রাজ্যের মতো এ রাজ্যেও কোনও রকম ট্রেনিং ও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছাড়াই এ সব কাজ তাঁদের করতে হচ্ছে। অনিয়মিত ও অতিসামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এই অমানুষিক পরিশ্রম করতে বাধ্য হলেও আশাকর্মীদের এমনকি স্বাস্থ্যকর্মীর স্বীকৃতিটুকুও নেই। এই অবস্থায় তাঁরা শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত, অনেককেই কোভিডের শিকার হতে হচ্ছে।

করোনা সংক্রান্ত কাজের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে মাসিক অতিরিক্ত ১৫ হাজার টাকা আশাকর্মীদের প্রদান, কোভিড সংক্রমিত প্রতি কর্মীকে ১ লক্ষ টাকা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা, ব্লক মেডিক্যাল অফিসারের নেতৃত্বে সমস্ত ধরনের স্বাস্থ্যকর্মীর সম্মিলিত টিমের মাধ্যমে আশাকর্মীদের কাজ করানো, উপযুক্ত সুরক্ষা সামগ্রী এবং পারিশ্রমিক প্রদান, কোভিডে মৃত আশাকর্মীর পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং সমস্ত কর্মী ও তার পরিবারের চিকিৎসার ব্যবস্থা ইত্যাদি দাবিতে ২৪ মে এআইইউটিইউসি অনুমোদিত ‘স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকে ২৪ ঘন্টা সারা ভারত ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল।

দেশ জুড়ে নানা রাজ্যে আশাকর্মীরা এ দিনের ধর্মঘটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হন। প্রতিটি রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবিগুলি পেশ করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন এও জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হলে আশাকর্মীরা বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।

গণদাবী ৭৩ বর্ষ ৩৪ সংখ্যা