৮ ডিসেম্বর কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত আশাকর্মীদের সমাবেশের পর বিভিন্ন জেলায় তাদের উপর যে দমন–পীড়ন ও অত্যাচার শুরু হয়েছে তাতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে পশ্চিমবঙ্গ আশাকর্মী ইউনিয়নের সম্পাদিকা ইসমত আরা খাতুন ২৩ ডিসেম্বর বলেন, অত্যন্ত কম পারিশ্রমিকে গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে নিযুক্ত হাজার হাজার আশাকর্মী তাঁদের দীর্ঘদিনের অপূরিত দাবিগুলি পূরণের আর্জি নিয়ে ১৮ ডিসেম্বর এক সমাবেশে মিলিত হয়েছিলেন৷ আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, পরের দিন থেকেই বিভিন্ন ব্লকে ‘চিরুনি অভিযানের’ মতো প্রতিহিংসামূলক এক অভিযান শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর৷ পুলিশ, আইবি থেকে শুরু করে বিভিন্ন আধিকারিক ‘কারা ওই মিছিলে গিয়েছিল’ এ সম্পর্কে খোঁজ নিচ্ছেন, তালিকা প্রস্তুত করছেন৷ এমনকী তাঁদের শো–কজ নোটিস ধরানো হচ্ছে এবং চাকরি থেকে বরখাস্তের হুমকি দেওয়া হচ্ছে৷ সারা রাজ্যে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে৷ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পক্ষে এ ধরনের কার্যকলাপ উদ্বেগজনক৷ তিনি এর তীব্র প্রতিবাদ করেন৷ তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যে, আশাকর্মীদের উপর উৎপীড়ন বন্ধ করে এবং সংঘর্ষের বাতাবরণ সৃষ্টি না করে তাঁদের দীর্ঘ দিনের অপূরিত দাবিগুলি মানতে হবে৷ এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মরত সমস্ত শ্রমজীবী মানুষ, গণতান্ত্রিক ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিক এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের সংগঠক ও সমর্থকদের প্রতি তাঁদের আবেদন– আশাকর্মীদের পাশে দাঁড়ান, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মূল্যবোধের উপর এই আক্রমণের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলুন৷