আর জি কর আন্দোলনে অংশ নেওয়া জনসাধারণকে অভিনন্দন বুদ্ধিজীবীদের

ফাইল চিত্র

জুনিয়র ডাক্তার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব এবং শিল্পী সাংস্কৃতিক কর্মী বুদ্ধিজীবী মঞ্চের সভাপতি বিভাস চক্রবর্তী এবং সাধারণ সম্পাদক দিলীপ চক্রবর্তী ও সান্টু গুপ্ত ১৭ সেপ্টেম্বর এক প্রেস বিবৃতিতে বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের চলমান আন্দোলনের ৩৭তম দিনে মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ দাবি মেনে নিয়েছেন এবং বাকি দাবিগুলি গুরুত্ব সহকারে ও সহানুভূতির সঙ্গে দেখবেন বলে স্বীকৃত হয়েছেন। আন্দোলনের চাপে কলকাতার পুলিশ কমিশনার, ডিসি নর্থ ও স্বাস্থ্য অধিকর্তাদের সরানোর দ্বারা রাজ্য সরকার এবং তার সর্বোচ্চ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মরত শিক্ষার্থী চিকিৎসকের খুন ধর্ষণের ঘটনা যে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, মুখ্যমন্ত্রী তা একপ্রকার স্বীকার করে নিলেন। ঘটনার পরে গত ১১ আগস্ট বুদ্ধিজীবী মঞ্চের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ন্যায্য দাবিগুলো অবিলম্বে মেনে নিতে মুখ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছিল।

 বিবৃতিতে তাঁরা বলেন– আমাদের প্রত্যাশা ছিল, স্বাস্থ্যের মতো একটি জরুরি জীবনদায়ী পরিষেবা, যার দায়িত্বে আছেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং, সেই সমস্যার সমাধানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পদক্ষেপ করবেন। এতে একদিকে যেমন রাজ্য সরকারের সদিচ্ছা (!) রাজ্যবাসী তথা ভারত ও বিশ্বের আপামর জনসাধারণের সামনে উন্মোচিত হত, তেমনি গরিব নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত সাধারণ স্তরের রোগী যাদের সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসা পাবার কোনও উপায় নেই, তাদেরও এত দীর্ঘ সময় ভোগান্তি হত না।

বিলম্বে হলেও মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবির অনেকগুলি মেনে নিয়েছেন। সমস্ত সচেতন জনসাধারণকে অভিনন্দন জানাই এই অভূতপূর্ব আন্দোলনে অংশগ্রহণ ও সর্বতোভাবে সাহায্য করার জন্য। যার ফলে স্বাস্থ্যব্যবস্থায় দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা, পরীক্ষা ব্যবস্থা ও পরিষেবা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতি ও নারীর নিরাপত্তাহীনতার কিছু অংশ উদঘাটিত হয়েছে। এই আন্দোলনকে ক্রমাগত শক্তিশালী করতে পারলে ও জনসাধারণ নজরদারি রাখলেই ভবিষ্যতে এসব ক্ষেত্রে সংশোধন আনা সম্ভব হবে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি সাধন অসম্ভব হবে না।