আর জি করের চিকিৎসক-ছাত্রীর নৃশংস খুন ও ধর্ষণের পর সাড়ে চার মাস কেটে গেলেও ন্যায়বিচার আজও মেলেনি। সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন ‘অভয়া’র যন্ত্রণা বুকে নিয়ে পথে নেমেছেন, দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। অভয়ার ন্যায়বিচার, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং দুর্নীতি ও থ্রেট-কালচার মুক্ত স্বাস্থ্যব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ নতুন করে জোট বাঁধছেন, গণকনভেনশন ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি স্থির করছেন।
বীরভূমঃ ৮ ডিসেম্বর বীরভূমের সিউড়িতে সাহিত্য পরিষদ হলে এক নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিউড়ি কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট, শিক্ষক, শিল্পী সহ বিভিন্ন স্তরের শতাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। মূল আলোচক ছিলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের় প্রাক্তনী ডাঃ সামস মুসাফির।
পূর্ব মেদিনীপুরঃ ১৫ ডিসেম্বর তমলুকে ডিস্ট্রিক্ট বার অ্যাসোসিয়েশন শতবর্ষ ভবনে অনুষ্ঠিত নাগরিক কনভেনশনে বক্তব্য রাখেন জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পক্ষে ডাঃ অনিন্দ্য মণ্ডল, অভয়ার প্রতীকী মূর্তির স্রষ্টা ভাস্কর অসিত সাঁই, ডাক্তার ললিত কুমার খাঁড়া, অধ্যাপক মধুসূদন জানা, আইনজীবী ময়ুখময় অধিকারী প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা শিপ্রা চক্রবর্তী। সভা পরিচালনা করেন শিক্ষক সুমিত রাউত, শিক্ষিকা চন্দনা বেরা।
মালদাঃ ১৭ ডিসেম্বর মালদা শহরের জেলা পরিষদ হলে নারীনিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বক্তা ছিলেন আর জি কর আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও মাদাম কুরি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাহরিয়ার আলম। এ ছাড়াও বিশিষ্ট কবি রীতা দাশগুপ্ত, শিক্ষক ও শিক্ষা আন্দোলনের নেতা মানস দত্ত, মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাঃ অভিনন্দা বিশ্বাস সহ বিভিন্ন পেশার শতাধিক নাগরিক উপস্থিত ছিলেন।
কলকাতাঃ ২০ ডিসেম্বর শিয়ালদহের মিত্র স্কুলে ‘আলোর পথযাত্রী’ সংস্থার উদ্যোগে নাগরিক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। আন্দোলনকারী চিকিৎসক তুহিন বর্মন সহ এলাকার বিশিষ্ট নাগরিকরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের সাথে যুক্ত কিছু স্থানীয় মানুষ। সংস্থার অন্যতম আহ্বায়ক সবিতা সরকার সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। প্রতিটি কনভেনশনেই অভয়ার ন্যায়বিচারের দাবিকে আরও জোরালো ভাবে তুলে ধরা এবং নারীনিগ্রহ মুক্ত সমাজের লক্ষ্যে আন্দোলনকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার নিয়ে নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।